Bikaner–Guwahati Express

Bikaner–Guwahati Express Derailment: এখনও নিখোঁজ কয়েক জন, হাসপাতালের মর্গে উৎকণ্ঠা নিয়ে প্রতীক্ষায় পরিজনেরা

বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের যাত্রী কোচবিহারের বাসিন্দা রঞ্জিত বর্মন, মঙ্গল রায়দের এখনও কোনও খোঁজ পাননি তাঁদের পরিবারের সদস্য়েরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২২ ১০:৪৭
Share:

শুক্রবার ভোরেও চলছে উদ্ধারকাজ। ফাইল চিত্র।

মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে জয়পুরের কর্মস্থল থেকে কোচবিহারের বাড়ি ফিরছিলেন রঞ্জিত বর্মন। দুর্ঘটনার ১০ মিনিট আগেও পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথাও বলছিলেন। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ নেই। দুর্ঘনার খবর পেয়ে পরিবারের লোক ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। বিভিন্ন জায়গা খুঁজেও মেলেনি রঞ্জিতের হদিস।

Advertisement

রঞ্জিতের ভাই প্রদীপ শুক্রবার সকালে জানান, ময়নাগুড়ির অদূরে লাইনচ্যুত বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের এস-৫ কোচের যাত্রী ছিলেন রঞ্জিত। তিনি বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার ১০ মিনিট আগেও দাদার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল আমার। তার পরে আর ফোর ধরেনি। মালবাজারের এক পরিচিতের কাছে দুর্ঘটনার খবর শুনি।’’

বৃহস্পতিবার রাতেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান প্রদীপ এবং তাঁর আর এক আত্মীয়। কিন্তু রাতভর খুঁজেও দাদার সন্ধান পাননি। ভোরে ময়নাগুড়ির হাসপাতালে যান তিনি। প্রদীপ বলেন, ‘‘ময়নাগুড়ি হাসপাতালে এক জনের মৃতদেহ ছিল। কিন্তু দাদাকে খুঁজে পাইনি। এর পর থানায় যেতে আমাকে বলা হয় জলপাইগুড়ি হাসপাতালে খোঁজ নিতে।’’

Advertisement

জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৬ জন আহতের মধ্যেও রঞ্জিতের খোঁজ পাননি প্রদীপ। তাই দাদার খোঁজে তিনি মর্গে গিয়েছেন। সেখানে তারই মতো উৎকণ্ঠার প্রতীক্ষায় আরও কয়েক জন নিখোঁজের পরিজন। তাঁদেরই এক জন অতনু রায়। কোচবিহারের সিঙিমারির এই বাসিন্দার ভাই মঙ্গল রায়ও বাড়ি ফিরছিলেন বিকানের থেকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তাঁর আর খোঁজ মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন