West bengal Assembly

Dhankhar-Biman: মুকুল উত্তাপে পত্র-যুদ্ধ, বিধানসভার কাজে নাক গলাবেন না, ধনখড়কে চিঠি স্পিকার বিমানের

রাজ্যপালের বক্তব্য, পিএসি-র চেয়ারম্যান মুকুল রায়কে করায় সংসদীয় ব্যবস্থার রীতি ধাক্কা খেয়েছে। তারই জবাব দিয়েছেন বিমান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:৪৬
Share:

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। নিজস্ব চিত্র।

বিধানসভার কাজে হস্তক্ষেপ না করার আবেদন জানিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে চিঠি পাঠালেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সংবাদমাধ্যমের কাছে রাজ্যপালকে চিঠি পাঠানোর কথা জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ নিয়ে চিঠি পাঠান ধনখড়। রাজ্যপাল চিঠিতে লেখেন, পিএসি-র চেয়ারম্যান মুকুল রায়কে করায় সংসদীয় ব্যবস্থার রীতি ধাক্কা খেয়েছে। সেই চিঠি পাওয়ার পরেই পাল্টা চিঠি পাঠান বিমান।

Advertisement

কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে তাঁকে পিএসি-র চেয়ারম্যান করেন স্পিকার। যদিও, বিজেপি-র পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান পদে বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ীর নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু ওই পদে মুকুলকে বসানোয় রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি পরিষদীয় দল। পরে ওই অভিযোগ নিয়ে আদালতেও গিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিরোধী দল বিজেপির দায়ের করা সেই মামলার শুনানির মধ্যেই সম্প্রতি স্পিকারকে নিজের মতামত জানিয়ে চিঠি পাঠান ধনখড়। বিধানসভার অর্থ বিষয়ক এই কমিটির চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন নিয়ে তিনি যে সন্তুষ্ট নন, সেই ইঙ্গিত ছিল রাজ্যপালের চিঠিতে। জানা যায়, ওই ঠিঠিতে স্পিকারের উদ্দেশে ‘পরামর্শ’ হিসেবে রাজ্যপাল লেখেন, ‘সংসদীয় ব্যবস্থার মর্যাদা ধরে রাখতে সঠিক সিদ্ধান্ত’ করা হোক।

তবে রাজ্যপালের চিঠি পেয়েই বিস্মিত হয় বিধানসভার সচিবালয়। কারণ, বিধানসভার রীতি অনুযায়ী, পিএসি বা তার চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে স্পিকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সেই মতোই এ বার মুকুলকে মনোনীত করেছেন বিমান। বিরোধী দলের কোনও বিধায়ককেই ওই পদে বসাতে হবে এমন কোনও আইন নেই, এটা নিছকই রেওয়াজ। তবে বিজেপির দাবি, আর্থিক বিষয়ে নজরদারির জন্য পিএসি’র চেয়ারম্যান পদে সবসময় বিরোধী বিধায়কই থাকেন। মুকুল তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সেই পদে তাঁর মনোনয়ন সংসদীয় ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য নষ্ট হচ্ছে।

Advertisement

এ বার পাল্টা চিঠি পাঠানো নিয়ে বিমান বলেন, ‘‘আমরা রাজ্যপালকে চিঠির জবাব দিয়েছি। আমরা বলেছি, এটা আপনি করতে পারেন না। এতে বিধানসভার গরিমা নষ্ট হচ্ছে। রাজ্যপালকে বারবার বলা সত্ত্বেও, তিনি কেন এমন করছেন তা বুঝতে পারছি না। আশা করি, তিনি অবশ্যই উপলব্ধি করবেন। আগামী দিনে তিনি বিধানসভা সংক্রান্ত বিষয়ে এই ধরনের চিঠি পাঠিয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যপাল যে ভাষায় চিঠি দিচ্ছেন তাতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সম্মান থাকে না এবং এতে নিজেরও সম্মান থাকে না। ওঁর সেটা বোঝা উচিত। আমি আশা করব, তিনি নিজেকে এ বিষয়ে সংযত করবেন এবং বিধানসভার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তিনি হস্তক্ষেপের চেষ্টা করবেন না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন