Biman Basu

কী ভাবে চাকরি পেয়েছেন সুজন-পত্নী? ব্যাখ্যা দিলেন বিমান, শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি তুললেন রাজ্যের কাছে

বুধবার রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে পথে নামছে বামফ্রন্টও। ওই দিনই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে অম্বেদকর মূর্তির নীচে ধর্নায় বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৩ ১৯:৪৩
Share:

কী ভাবে চাকরি পেয়েছেন সুজন-পত্নী মিলি চক্রবর্তী? ব্যাখ্যা দিলেন বিমান বসু। ফাইল চিত্র।

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে পরস্পরবিরোধী অভিযোগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এ বার এই আবহে মুখ খুললেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। বৃহস্পতিবার আদালত চত্বরে সুজন চক্রবর্তীর দুর্নীতি-যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সুজনের স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর নিয়োগ নিয়ে শুক্রবার প্রশ্ন তোলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। এই প্রসঙ্গে মুখ খুলে মিলি কীভাবে চাকরি পেয়েছিলেন, তার ব্যাখ্যা দিলেন বিমান।

Advertisement

বিমানের কথায়, “১৯৮৮ সাল পর্যন্ত কলেজে অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভাবে পরীক্ষা নেওয়া হত। আমার যত দূর মনে পড়ছে মিলি চক্রবর্তী ১৯৮৭ সালে চাকরি পেয়েছিলেন।” দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে সুজন-পত্নীর চাকরি স্বচ্ছ উপায়ে হয়নি বলে সম্প্রতি সরব হয়েছে তৃণমূল। শাসকদল তৃণমূলের তরফে বাম আমলে শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে, সেই দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি তুলেছেন বিমান। প্রবীণ সিপিএম নেতা এই প্রসঙ্গে বলেন, “বামপন্থীদের তদন্তে কোনও ভয় নেই। চাইলেই সরকার এই বিষয়ে তদন্ত করতে পারে।”

Advertisement

আগামী বুধবার রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে পথে নামতে চলেছে বামফ্রন্টও। ওই দিন রামলীলা ময়দান থেকে লেনিন মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মিছিল করবেন বামফ্রন্ট নেতাকর্মীরা। ওই দিনই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে অম্বেদকর মূর্তির নীচে ধর্নায় বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার একই দিনে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রাপ্ত অর্থের হিসাব দিল্লিকে না দেওয়ার অভিযোগে ধর্নায় বসছে বিজেপিও। রাজ্য বিজেপির ওই ধর্না কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার কথা সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীর। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রাপ্ত এবং বকেয়া অর্থ নিয়েও রাজ্যকে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করার অনুরোধ জানান বিমান। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। বলেন, “ক্রিমিনালদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়, ওই সাংসদের সঙ্গে সেই আচরণ করা হয়েছে। গোটা দেশের এর বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা উচিত।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন