ছবি: সংগৃহীত।
আরএসএস-এর যে সব সদস্য তৃণমূলে রয়েছেন, তাঁদের বিজেপি-তে ফেরার আহ্বান জানালেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বেশ কিছু দিন ধরেই দিলীপবাবু দাবি করছিলেন, তৃণমূলের বহু নেতা বিজেপি-তে যোগ দিতে চেয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলে আরএসএস-এর অনেক লোক আছেন। তৃণমূলের যেটুকু সুনাম, তা ওই আরএসএস-এর লোকদের জন্যই। তবে এখন পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাঁরা ফিরে আসতে চাইছেন। আমাদের দরজা খোলা আছে।’’
আরএসএস কর্মী দেবব্রত (মলয়) মজুমদার এবং কর্নেল সব্যসাচী বাগচী ২০০৯ সালে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। দেবব্রতবাবু এখন কলকাতা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর এবং সব্যসাচীবাবু এখন রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান। তাঁদের নামও এ দিন উল্লেখ করেছেন দিলীপবাবু। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির ওই ডাকে কি তিনি সাড়া দেবেন? দেবব্রতবাবু বলেন, ‘‘আমি এ বিষয়ে কিছু বলব না। আমি তো তৃণমূলেই আছি!’’ সব্যসাচীবাবুকে অবশ্য ফোনে পাওয়া না যাওয়ায় এ বিষয়ে তাঁর মত জানা যায়নি।
সদ্য খুন হয়ে যাওয়া ভদ্রেশ্বর পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান মনোজ উপাধ্যায়ও আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি নাগপুর থেকে সঙ্ঘের সর্বোচ্চ প্রশিক্ষণও নিয়ে এসেছিলেন। তাঁর দাদা এখনও আরএসএস-এরই কর্মী। মনোজও কিছু দিন আগে থেকে বিজেপি-তে আসতে চাইছিলেন বলে তাঁর মৃত্যুর পর দাবি করেছেন দিলীপবাবু।
এ দিন অবশ্য আরএসএস না হলেও তৃণমূলের কয়েক জন জেলা স্তরের নেতা বিজেপি-তে যোগ দেন। তাঁদের মধ্যে আছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের শিবু পাণিগ্রাহী, সিঙ্গুরের দ্বারিকানাথ ঘোষ, সুদীপ ঘোষ।