বিদেশ থেকে টাকা এনে বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার বাংলায় বিভাজনের রাজনীতির বিষ ছড়াচ্ছে বলে বুধবার অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, সঙ্ঘ পরিবারের অনুগামী কিছু সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে বিদেশ থেকে ‘ফান্ড’ আসছে। তার পর ওই টাকা ব্যবহার করেই বাংলায় ধর্মীয় বিভাজনের চেষ্টা করা হচ্ছে। সে জন্য জেলায় জেলায় ছুতোয় নাতায় অশান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে।
এ দিন দলের কোর কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। ওই বৈঠকে নিজে থেকেই এই প্রসঙ্গ তুলে দলকে সতর্ক করেন মমতা। তবে অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগে শুধু বিজেপি-কে দুষে থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী। এ ব্যাপারে দলের এক সংখ্যালঘু বিধায়ক এবং এক সংখ্যালঘু সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকেও হুঁশিয়ার করেন মমতা। বিশেষ করে দলের ওই সংখ্যালঘু সাংসদকে তিনি বলেন, আপনি কী বাজে খেলা খেলছেন আমি জানি। এ সব বন্ধ করুন। তৃণমূল কখনও ধর্মের নামে রাজনীতি করে না। তৃণমূলের কাছে সব ধর্মের মানুষেরই সমান গুরুত্ব। পার্টিতে থেকে এ সব কাজ করা যাবে না।
বিদেশ থেকে তহবিল সংগ্রহ করা বা বাংলায় অশান্তি পাকানোর ব্যাপারে মমতার অভিযোগ অবশ্য খারিজ করেছে বিজেপি। সেই সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ বলেন, ‘‘বাংলায় যত যত মস্তান রয়েছে সবাই তো এখন তৃণমূলে। অশান্তি আর কে করবে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সত্যিই রাজ্যে শান্তি চান তা হলে এ সব মস্তানদের দল থেকে তাড়ান। পুলিশের হাতে সব ক্ষমতা ফিরিয়ে দিন।’’