কেতুগ্রাম থানার সামনে সুশীল মণ্ডলের মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের। —নিজস্ব চিত্র
খুনিদের গ্রেফতার করতে করতে হবে। বদলি করতে হবে আইসিকে। থানার গেটের সামনে মৃতদেহ রেখে এই দুই দাবি-সহ ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তাল হয়েওঠে বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানা। ঘণ্টা দুয়েক বিক্ষোভ চলার পর পদস্থ পুলিশকর্তাদের আশ্বাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।বৃহস্পতিবার খুন হওয়া বিজেপি কর্মী সুশীল মণ্ডলের (৫২) দেহ নিয়ে এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পর গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত রাজকুমার ঘোষকে।
ওই দিন কেতুগ্রামের পাণ্ডুগ্রামের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা বিজেপি কর্মী সুশীল মণ্ডলকে বাড়ির সামনেই কুপিয়ে খুন করা হয়। অভিযোগ ওঠে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাজকুমার ঘোষ, লক্ষ্মণ মণ্ডল ও জগন্নাথ ঘোষের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। ওই ঘটনার পর শুক্রবার সকাল থেকেই আশপাশের এলাকা থেকে বিজেপি কর্মীরা থানার সামনে জড়ো হন। সুশীলবাবুর মৃতদেহ থানার গেটের সামনে রেখে শুরু হয় প্রতিবাদ বিক্ষোভ। চলতে থাকে জয় শ্রীরাম স্লোগান।
খবর পেয়ে পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সৈকত ঘোষ, কাটোয়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও) ত্রিদিব সরকার-সহ পদস্থ পুলিশ কর্তারা বিশাল বাহিনী নিয়ে থানায় যান। তাঁরা গিয়ে বিক্ষোভকারীদের জানান, মূল অভিযুক্ত রাজকুমার ঘোষ ওরফে রাজুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইসি-র বদলির বিষয়েও বিবেচনার আশ্বাস দেন তাঁরা। তার প্রায় দু’ঘণ্টা পর প্রতিবাদ-বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সামনে জয় শ্রীরাম বলায় গ্রেফতার ১০, কাল থানা ঘেরাও বিজেপির
আরও পড়ুন: মোদী মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে বেশি আসন দখল উত্তরপ্রদেশের
কিন্তু আইসি-র বদলি না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। স্থানীয় বিজেপি নেতা অনীল দত্ত বলেন, ‘‘মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও এখনও দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। থানার আইসি বাসুদেব সরকার তৃণমূলের দলদাসের মতো কাজ করছেন। তার জেরেই এলাকা অশান্ত হয়ে উঠছে। অবিলম্বে বাকি দু’জনের গ্রেফতার এবং আইসি-কে বদলি না করা হলে আমরা আরও বড় আন্দোলনের পথে যাব।’’