বাড়ি বাড়ি ফর্ম বিলি করছেন বিএলও-রা। — ফাইল চিত্র।
রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) শুরু হয়েছে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করছেন বুথ স্তরের আধিকারিক বা বিএলও-রা। নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান বলছে, এ রাজ্যে সব চেয়ে বেশি ফর্ম ইতিমধ্যে বিলি করা হয়েছে পূর্ব বর্ধমান এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। সেখানকার ভোটারদের জন্য যত ফর্ম ছাপানো হয়েছিল, তার মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৯৭ শতাংশই বিলি করে দিয়েছেন বিএলও-রা। মঙ্গলবার পর্যন্ত সবচেয়ে কম ফর্ম বিলি হয়েছে কলকাতা উত্তরে। সেখানকার ভোটারদের জন্য যত ফর্ম ছাপানো হয়েছিল, তার ৬৬ শতাংশ বিলি করা হয়েছে। সারা রাজ্যে অনলাইনে ৫ লক্ষ ৭১ হাজার আবেদন জমা পড়েছে।
কমিশনের পরিসংখ্যান বলছে, পূর্ব বর্ধমান এবং পূর্ব মেদিনীপুরের পরেই সবচেয়ে বেশি হারে ফর্ম বিলি হয়েছে বাঁকুড়ায়। সেখানে ৯৫ শতাংশ ফর্ম বিলি হয়েছে। হুগলি এবং কোচবিহারে হয়েছে ৯৪ শতাংশ ফর্ম বিলি। কালিম্পঙে ৯৩ শতাংশ, জলপাইগুড়িতে ৯০ শতাংশ ফর্ম বিলি করেছেন বিএলও-রা। ঝাড়গ্রামে ৯০ শতাংশ, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৮৯ শতাংশ, পুরুলিয়ায় ৮৮ শতাংশ, দার্জিলিঙে ৮৩ শতাংশ, উত্তর দিনাজপুরে ৮২ শতাংশ, নদিয়ায় ৮১ শতাংশ, উত্তর ২৪ পরগনায় ৮১ শতাংশ, হাওড়ায় ৮০ শতাংশ ফর্ম এখন পর্যন্ত বিলি করেছেন বিএলও-রা।
রাজ্যের বাকি অংশে ৮০ শতাংশের কম এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা হয়েছে। বীরভূমে ৭৮ শতাংশ, পশ্চিম বর্ধমানে ৭৮ শতাংশ, আলিপুরদুয়ারে ৭৮ শতাংশ, মালদহে ৭৬ শতাংশ, মুর্শিদাবাদে ৭৬ শতাংশ, কলকাতা দক্ষিণে ৭৪ শতাংশ ফর্ম বিলি করেছেন বিএলও-রা এখন পর্যন্ত। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭৪ শতাংশ, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৭২ শতাংশ ফর্ম বিলি করা হয়েছে। একমাত্র কলকাতা উত্তরে ৭০ শতাংশেরও কম এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা হয়েছে।
এ রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা সাড়ে সাত কোটিরও বেশি। রাজ্য জুড়ে ৮০ হাজারের বেশি বিএলও-কে এসআইআর-এর কাজে নিয়োগ করেছে কমিশন। তাঁরা বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন, ফর্ম দিচ্ছেন এবং ভোটারদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন। কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে, বিএলও-রা শুধু ফর্ম বিলি করবেন এবং পরে পূরণ করা ফর্ম সংগ্রহ করবেন। তাঁদের কাছে কোনও নথি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
কর্মসূত্রে যাঁরা বাইরে থাকেন, তাঁদের জন্য অনলাইনে ফর্ম পূরণের ব্যবস্থা করেছে কমিশন। শুক্রবার রাত থেকে সেই পরিষেবা চালু করা হয়েছে। অনলাইনে কারা ফর্ম পূরণ করতে পারবেন, কী ভাবে করবেন, তা-ও জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।