CADC

মাটি ও জলের গুণ পরীক্ষায় নতুন যন্ত্র

খড়্গপুর আইআইটি'র দুই প্রাক্তন কৃতী ছাত্র রাজীব মণ্ডল ও পার্থ চক্রবর্তী এই যন্ত্রের উদ্ভাবন করেছেন।

Advertisement

মেহবুব কাদের চৌধুরী

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৬:১১
Share:

প্রতীকী ছবি।

ফসল উৎপাদনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মাটি? অথবা মাছচাষের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে পুকুরের বা জলাশয়ের জলের উপাদান? কৃষক ও মৎস্যচাষিরা মাটি ও জলের গুণাগুণ এ বার নিজেরাই পরীক্ষা করে নিতে পারবেন।

Advertisement

ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত দফতরের অধীনস্থ সামগ্রিক এলাকা উন্নয়ন পর্ষদের (সিএডিসি) ২৩টি প্রকল্প এলাকায় চাষিরা 'সয়েলসাথি’ নামের এই যন্ত্রের সুবিধা পাচ্ছেন।

খড়্গপুর আইআইটি'র দুই প্রাক্তন কৃতী ছাত্র রাজীব মণ্ডল ও পার্থ চক্রবর্তী এই যন্ত্রের উদ্ভাবন করেছেন। ১৯৯৪ সালে খড়্গপুর আইআইটি থেকে পাশ করে তাঁরা দুজনেই বিদেশ চলে যান। ফিরে এসে দুজনে মিলে একটি সংস্থা তৈরি করেন। ফোনে রাজীব বলেন, ‘‘২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে 'সয়েলসাথি' যন্ত্রটি আমরা তৈরি করি। রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর প্রথম আমাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এ ছাড়াও, দেশের ছ'টি রাজ্য এই যন্ত্র নিয়েছে।" তাঁর কথায়, ‘‘চাষি চাষ করলেও মাটিতে কী উপাদান আছে, জানেন না। অনেক সময়ে বেশি সার দিলে ক্ষতি হয়। মাটির নমুনা এই যন্ত্রে রাখলে তৎক্ষণাৎ বলে দেবে, মাটিতে কোন উপাদানের ঘাটতি রয়েছে। জলের নমুনাও এই যন্ত্রে পরীক্ষা করে উপকৃত হবেন মৎস্যচাষিরা। এই যন্ত্র ব্যাগেই নেওয়া যাবে।"

Advertisement

রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, "এই যন্ত্র সামগ্রিক এলাকা উন্নয়ন পর্ষদের প্রতিটি খামারে মাস সাতেক আগে থেকেই রেখেছি। ফলও পেয়েছি। আগামী দিনে যাতে রাজ্যের সব পঞ্চায়েত এলাকার চাষিরা ওই যন্ত্রের সুবিধা পান তার ব্যবস্থা করা হবে।"

পর্ষদের প্রশাসনিক সচিব সৌম্যজিৎ দাস বলেন, "রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ২৩টি খামারে প্রায় কুড়ি হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের এই যন্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই যন্ত্র ব্যবহার করে বেশ উপকার মিলেছে।" পর্ষদের মৎস্য আধিকারিক বিজন মণ্ডল বলেন, "জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ, জলে ক্ষার, অম্লতা থেকে শুরু করে অ্যামোনিয়া ইত্যাদি উপাদানের পরিমাণ এই যন্ত্রে পরীক্ষা করে সহজেই মিলবে। সব থেকে বড় কথা, এই পরীক্ষা যে কেউ করতে পারবেন।"

সামগ্রিক এলাকা উন্নয়ন পর্ষদের পুরুলিয়ায় অযোধ্যায় পাহাড় ও কুমারীকাননে বিশাল খামার রয়েছে। ওই প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট আধিকারিক সুশান্ত খাটুয়া বলেন, "আমাদের এখানে টোম্যাটো ও বাঁধাকপি সারা বছর চাষ হয়। গাছে রোগ হলে আমরা এত দিন আনুমানিক ওষুধ প্রয়োগ করতাম। মাস সাতেক আগে এই নতুন যন্ত্রের সাহায্যে মাটির নমুনা পরীক্ষা করে ভাল উপকার পেয়েছি।"

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement