অ্যাসিড মাখানো ও ধর্ষণে তদন্ত রিপোর্ট চাইল কোর্ট

গত বছর দোলের দিন রঙের সঙ্গে অ্যাসিড মাখানোর এবং তার কিছু দিন পরে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। আরও একটি দোল চলে গেল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৫৮
Share:

গত বছর দোলের দিন বিষ্ণু এবং তার সঙ্গীরা রঙের সঙ্গে অ্যাসিড মিশিয়ে তরুণীকে সেটা মাখিয়ে দেয়।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার এক তরুণীকে গত বছর দোলের দিন রঙের সঙ্গে অ্যাসিড মাখানোর এবং তার কিছু দিন পরে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। আরও একটি দোল চলে গেল। কিন্তু সেই অ্যাসিড ও গণধর্ষণ-কাণ্ডের সব অভিযুক্ত এখনও ধরা পড়েনি। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশ এ-পর্যন্ত কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন, ২৩ এপ্রিলের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

Advertisement

সরকারি আইনজীবী শুদ্ধদেব আদক জানান, ওই তরুণীর বাবা পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছেন, বিষ্ণু দে নামে স্থানীয় এক যুবক তাঁর মেয়েকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। গত বছর দোলের দিন বিষ্ণু এবং তার সঙ্গীরা রঙের সঙ্গে অ্যাসিড মিশিয়ে তাঁর মেয়েকে সেটা মাখিয়ে দেয়। তার পর থেকে তারা তাঁর মেয়েকে হুমকি দিত, এই বিষয়ে তিনি যেন কাউকে কিছু না-বলেন। বললে ফল ভাল হবে না। গত ১২ নভেম্বর রাতে বিষ্ণু মদ্য পান করে দলবল নিয়ে ওই তরুণীর বাড়িতে চড়াও হয়। তরুণীর বাবার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বিষ্ণু এবং টরলো শাসমল নামে তার এক বন্ধু মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। তার পরে তাঁদের বাড়ি থেকে নগদ কয়েক লক্ষ টাকা, সোনার গয়না এবং মোটরবাইক লুঠ করে বিষ্ণুরা পালিয়ে যায়।

তরুণীর বাবার অভিযোগ, সেই ঘটনার পরে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের অন্যদের হত্যার হুমকি দিতে থাকে বিষ্ণুরা। তাদের হাত থেকে বাঁচতে বিষ্ণু এবং তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তদের নাম বিষ্ণু দে, তুফান শাসমল, তরুণ শাসমল, টরলো শাসমল, শিশির দে, দেবদাস চক্রবর্তী ও সুরেশ দেবনাথ। গত বছর বিষ্ণু ও সুরেশকে গ্রেফতার করা হলেও বাকিরা পলাতক। অন্য অভিযুক্ত ধরা না-পড়ায় তরুণীর বাবা মার্চে হাইকোর্টে মামলা করেন।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন