Kolkata Metro

সাধারণ মানুষের স্বার্থের কথা ভাবুন! চিংড়িঘাটায় মেট্রোর কাজ থমকে থাকায় বলল হাই কোর্ট, সব পক্ষকে বৈঠকে বসার পরামর্শ

রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড জানিয়েছে, সপ্তাহান্তে তিন দিন সন্ধ্যা থেকে রাতের দিকে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করার সময় দিতে হবে। তিন দিন ১২ ঘণ্টা করে সময় পাওয়া গেলে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:২৯
Share:

চিংড়িঘাটায় কলকাতা মেট্রোর উড়ালপথের অসমাপ্ত অংশ। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ থেকে।

চিংড়িঘাটায় মেট্রোর কাজ নিয়ে জটিলতা কাটাতে এ বার আলোচনায় বসার পরামর্শ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। চিংড়িঘাটার কাছে প্রায় ৩৬৬ মিটার মেট্রোর কাজ আটকে রয়েছে। ওই সংক্রান্ত জট কাটাতে রাজ্য সরকার, পুলিশ, কলকাতা নগরোন্নয়ন পর্ষদ (কেএমডিএ), মেট্রো রেল এবং নির্মাণকারী সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল)-কে বৈঠকে বসার জন্য বলল আদালত।

Advertisement

চিংড়িঘাটায় মেট্রো প্রকল্পের ওই কাজ নিয়ে হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা চলছে। বুধবার হাই কোর্টের বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র বেঞ্চে ওই মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। আরভিএনএল-এর তরফে আদালতে জানানো হয়, সপ্তাহান্তে তিন দিন সন্ধ্যা থেকে রাতের দিকে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করার সময় দিতে হবে। তিন দিন ১২ ঘণ্টা করে সময় পাওয়া গেলে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে। আদালত জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত জট কাটাতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলিকে আলোচনায় বসতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, জনগণের স্বার্থের কথা ভেবে ওই বৈঠক করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলিকে। বৈঠক কবে হবে, তা আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) জানাতে হবে আদালতে।

বস্তুত, চিংড়িঘাটায় মেট্রোর কাজের জন্য ওই সময় রাস্তা বন্ধ রাখার প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু চিংড়িঘাটার মোড় দিয়ে প্রচুর গাড়ি যাতায়াত করে। এ অবস্থায় রাস্তা বন্ধ রাখলে বিকল্প কোন পথ যান চলাচল করানো যেতে পারে, তা-ও বিবেচনা করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেকে।

Advertisement

চিংড়িঘাটায় থমকে থাকা মেট্রোর কাজটি, কলকাতা মেট্রোর অরেঞ্জ লাইন (সল্টলেক সেক্টর ফাইভ-নিউ গড়িয়া)-এর অংশ। চিংড়িঘাটা মোড়ের কাছেই রয়েছে মেট্রোর গৌরকিশোর ঘোষ স্টেশন। এই স্টেশনটি ঘিরেই জটিলতা রয়েছে। এর আগে রাজ্য হাই কোর্ট জানিয়েছিল, ওই মেট্রো স্টেশন চালু হলে চিংড়িঘাটায় যানবাহনের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। ফলে যানজট তৈরির আশঙ্কাও থাকছে। এ অবস্থায় চিংড়িঘাটায় একটি আন্ডারপাসের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে রাজ্য। শুধু তা-ই নয়, রাজ্য আরও জানিয়েছিল, মেট্রোকেই ওই আন্ডারপাস তৈরি করে দিতে হবে। এ অবস্থায় আগামিকাল আদালতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলি কী জানায়, তার উপর নির্ভর করতে পারে চিংড়িঘাটায় মেট্রোর কাজের ভবিষ্যৎ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement