—প্রতীকী চিত্র।
জয়নগরের দলুয়াখাকির গ্রামে হিংসার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় বিরক্তি প্রকাশ করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এই মামলার শুনানিতে বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘সরকার বদলালেও পুলিশ একই থাকে। এদের নিয়েই আমাদের কাজ করতে হয়।’’ ঘটনার পরে দু’বছর কেটে গেলেও ১৪ জন অভিযুক্তের মধ্যে মাত্র দু’জনকে কেন গ্রেফতার করা গেল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতি। সেই ১২ জনকে খোঁজার দায়িত্ব সিআইডিকে দিয়েছে আদালত। নভেম্বর মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে তৃণমূল কর্মী সইফুদ্দিনকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়ায় দলুয়াখাকিতে। এই ঘটনায় ১৪ জন অভিযুক্তের মধ্যে দু’জন এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন। সেই নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি ঘোষ। তাঁর মন্তব্য, ‘‘রাজনৈতিক রং দেখলে হবে না, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
সরকারি আইনজীবী সওয়াল করেন, ‘‘৪৫ দিন সময় দিন, সবাইকে খুঁজে আনব।’’ বিচারপতি ঘোষ বলেন, ‘‘এই ভোকাল টনিক তদন্তকারী অফিসারকে দিন। সোনারপুর, বারুইপুর, নরেন্দ্রপুর থানার ভূমিকায় আমি খুবই বিরক্ত।’’
দলুয়াখাকিতে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর নামে এক তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। এর পরেই সাহাবুদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের ওই নেতা খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে সিপিএমের দিকে। যদিও সিপিএম সেই অভিযোগ মানেনি। তাদের পাল্টা অভিযোগ, দলুয়াখাকিতে সিপিএম সমর্থকদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বহু মানুষ ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এই ঘটনায় এ বার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্ট।