Mandarmani Hotels

সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মন্দারমণিতে কোনও হোটেল ভাঙা যাবে না! অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করল কলকাতা হাই কোর্ট

মন্দারমণিতে হোটেল ভাঙার সিদ্ধান্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিংহ জানান, আপাতত আরও তিন মাস, অর্থাৎ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হোটেল ভাঙার সিদ্ধান্ত স্থগিত থাকবে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২৫ ১৬:১৪
Share:

মন্দারমণিতে হোটেল ভাঙার সিদ্ধান্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করল কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

মন্দারমণিতে হোটেল ভাঙার সিদ্ধান্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিংহ জানান, আপাতত আরও তিন মাস, অর্থাৎ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হোটেল ভাঙার সিদ্ধান্ত স্থগিত থাকবে। এই সময়ের মধ্যে কেন্দ্রের কাছে হাই কোর্ট কয়েকটি বিষয়ে জানতে চেয়েছে। কেন্দ্রের কাছে বিচারপতি সিংহের প্রশ্ন, সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা (কোস্টাল রেগুলেশন জোন)-য় কত দূর পর্যন্ত স্থায়ী নির্মাণ করা যায় না? আইন অনুযায়ী সেখানে হোটেল চালানো যায় কি না? আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Advertisement

মন্দারমণিতে সৈকত লাগোয়া এলাকার প্রায় ১৪০টি হোটেল ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। অভিযোগ, বেআইনি ভাবে ওই হোটেলগুলি নির্মাণ করা হয়েছে। সেই নির্দেশ মেনে ওই হোটেলগুলি ভাঙার নির্দেশ দেন জেলাশাসক। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। মামলা দায়ের করেন কয়েক জন হোটেল মালিক। তার ভিত্তিতে জেলাশাসকের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।

শুক্রবার ওই মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের কাছে বিচারপতি জানতে চান, এই রাজ্যে সমুদ্রপাড়ের কত দূর পর্যন্ত নির্মাণ করা যাবে, তা নিয়ে কোনও নির্দেশিকা রয়েছে কি না? কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (এএসজি) অশোককুমার চক্রবর্তী জানান, বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে তাঁরা জানিয়েছেন, এ রকম ভাবে কোনও এলাকা চিহ্নিত করা নেই। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে তিনি আরও বলতে পারবেন। পাশপাশি, এএসজির বক্তব্য, জাতীয় পরিবেশ আদালতের মূল বেঞ্চ দিল্লিতে রয়েছে। এই মামলার শুনানি হাই কোর্টে হতে পারে না।

Advertisement

তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি সিংহ বলেন, ‘‘বেআইনি নির্মাণ বলেই ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অথচ রাজ্য হোটেল মালিকদের সমর্থন করছে। আর কেন্দ্র কোনও সদুত্তর দিতে পারছে না। এই অবস্থায় আদালত দেখবে আইন অনুযায়ী হোটেল চালানো যায় কি না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement