CBI

সিবিআইয়ের প্রাক্তন অধিকর্তার স্ত্রী-মেয়ে যুক্ত চিটফান্ড প্রতারণায়, হলফনামায় বিস্ফোরক রাজীব কুমার

রাজীবের অভিযোগ, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে তাঁকে হেনস্থা করছে সিবিআই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৯ ২০:২৩
Share:

রাজীব কুমার। —ফাইল চিত্র।

সিবিআইয়ের প্রাক্তন অন্তর্বর্তী অধিকর্তা এম নাগেশ্বর রাওয়ের স্ত্রী এবং মেয়েই যুক্ত রয়েছেন চিটফান্ড প্রতারণায়। কলকাতা পুলিশ সেই তদন্ত করছে। ঠিক সেই কারণেই প্রতিহিংসার বশে তাঁকে গ্রেফতার করতে চাইছে সিবিআই— হলফনামায় বিস্ফোরক অভিযোগ কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার রাজীব কুমারের।

Advertisement

এর আগে চলতি মাসের ৫ তারিখ শীর্ষ আদালতে সিবিআইয়ের তরফে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন চিট ফান্ড তদন্তের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা-৪ এর সুপারিনটেডেন্ট পি সি কল্যাণ। একুশ পাতার হলফনামার ছত্রে ছত্রে কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনারকে অভিযুক্ত করেছে সিবিআই। কল্যাণ তাঁর হলফনামার শেষে রাজ্যের শীর্ষ ওই আইপিএস অফিসারকে গ্রেফতার না করার জন্য শীর্ষ আদালতের নির্দেশ প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছেন।

সেই হলফনামার জবাব দিয়ে রাজীব কুমারকে দ্রুত হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই হলফনামার ৪৮ নম্বর অনুচ্ছেদে কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল জানিয়েছেন, অসৎ উদ্দেশ্যে গত ৩ ফেব্রুয়ারি, তাঁর লাউডন স্ট্রিটের সরকারি বাসভবনে হানা দিয়েছিল সিবিআই। রাজীব কুমার উল্লেখ করেছেন, ওই দিনই অন্তর্বর্তী অধিকর্তা হিসাবে নাগেশ্বর রাওয়ের শেষ দিন ছিল। পরের দিনই অধিকর্তা হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ঋষি কুমার শুক্ল।সেই প্রসঙ্গে রাজীব কুমারের অভিযোগ, স্বার্থের সংঘাতের কারণেই ওই দিন তাঁর সরকারি বাসভবনে হানা দিয়েছিল সিবিআই।

Advertisement

আরও পড়ুন: তৃণমূলের প্রচারে নেমে ফিরদৌসের পর বিতর্কে আর এক বাংলাদেশি অভিনেতা, কমিশনে অভিযোগ বিজেপির​

আরও পড়ুন: নোটবন্দির পর চাকরি খুইয়েছেন ৫০ লাখ পুরুষ! নয়া সমীক্ষায় আরও অস্বস্তিতে মোদী সরকার​

কেন স্বার্থের সংঘাত? ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কলকাতার প্রাক্তন কমিশনার জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করার পরেই কলকাতা পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় যে, বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা বিভিন্ন ভুয়ো শেল কোম্পানির মাধ্যমে সাদা করার চেষ্টা চলছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে বউবাজার থানায় একটি এফআইআর(৩২/২০১৭) দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।রাজীব কুমারের দাবি, ওই মামলার তদন্ত করতে গিয়েই জানা যায়, অবৈধ ভাবে লগ্নিকারীদের কাছ থেকে টাকা তুলে সেই টাকা জমা করা হচ্ছে কয়েকটি ভুয়ো কোম্পানির নামে। সেই সূত্র ধরেই ফের নতুন একটি মামলা(এফআইআর নম্বর ৩৯/২০১৯)শুরু করে পুলিশ।রাজীবের দাবি, ওই চিটফান্ড প্রতারণার তদন্ত করতে গিয়েই সামনে আসে গোটা ঘটনায় নাগেশ্বর রাওয়ের স্ত্রী মানেম সন্ধ্যা এবং মেয়ে মানেম আমানির ভূমিকা। রাজীব শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছেন, আদালত চাইলে ওই মামলার তদন্ত সংক্রান্ত তথ্য তিনি জমা দিতে পারেন মুখবন্ধ খামে।

ওই মামলার সূত্র ধরে সল্টলেকের একটি বাড়ি এবং ক্যানিং স্ট্রিটের একটি অফিসে দফায় দফায় তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশ। রাজীবের অভিযোগ, ওই তদন্তের কারণেই ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে তাঁকে হেনস্থা করছে সিবিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement