CBI

রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের প্রমাণ আছে, বললেন অন্তর্বতী সিবিআই প্রধান

সিবিআই কর্তারা দাবি করেছেন, কলকাতা পুলিশকে তাঁরা আগাম জানিয়েই গিয়েছিলেন কমিশনারের বাড়িতে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৮:৩৬
Share:

লাউডন স্ট্রিটে পুলিশ কমিশনারের বাড়ির সামনে উত্তেজনা। নিজস্ব চিত্র।

কলকাতা পুলিশ কমিশনারের বাংলোয় সিবিআই হানা ঘিরে নাটকীয় পরিস্থিতি। লাউডন স্ট্রিটে পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে হাজির হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে অভ্যুত্থান করার চেষ্টা চলছে। পরিস্থিতি জরুরি অবস্থার থেকেও ভয়াবহ বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দেশের সংবিধান বাঁচাতে মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসবেন বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

রবিবার বিকেলে হঠাৎই কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের সরকারি বাংলোয় পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। যদিও লাউডন স্ট্রিটে পুলিশ কমিশনারের সরকারি বাসভবনে আগে থেকেই মোতায়েন ছিলেন শীর্ষ পুলিশ কর্তারা। তাঁরা সিবিআই আধিকারিকদের বাধা দেন। শুধু বাধা দেওয়াই নয়, কলকাতা পুলিশের সঙ্গে রীতিমত ধাক্কাধাক্কি এবং ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় সিবিআই আধিকারিকদের। কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা জোর করে সিবিআই আধিকারিকদের গাড়িতে তুলে শেক্সপিয়র সরণি থানায় নিয়ে যান।

শনিবার থেকেই জল্পনা চলছিল যে সারদা এবং রোজভ্যালি চিট ফান্ড মামলায় কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে জেরা করতে চায় সিবিআই। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সিবিআই সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানায়,সিবিআই অফিসারদের তরফে তাদের জানানো হয়েছে, রাজীব কুমারকে একাধিক বার হাজিরার জন্য নোটিস পাঠানো হলেও তিনি আসেননি। ‘সর্বশেষ উপায়’ হিসেবে গ্রেফতারির মতো চূড়ান্ত পদক্ষেপের সংস্থান আছে বলেও ওই অফিসারেরা ওই সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন।

Advertisement

শনিবার থেকে শুরু হওয়া ওই জল্পনা নিয়ে কড়া অবস্থান জানায় লালবাজার। সিবিআই আধিকারিকরা লাউডন স্ট্রিটে পৌঁছোনর ঠিক এক ঘণ্টা আগেই লালবাজারে কলকাতা পুলিশের সদর দফতরে বসে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (১) জাভেদ শামিম বলেন, তাঁরা কড়া আইনি ব্যবস্থা নেবেন।

তার এক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ কমিশনারের বাড়ি পৌঁছয় সিবিআই আধিকারিকরা।

লাইভ আপডেট

তথ্য লোপাট করার প্রমাণ আছে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানালেন অন্তর্বর্তী সিবিআই প্রধান এম নাগেশ্বর রাও। ঘটনার কড়া নিন্দা করে কেন্দ্রের সমালোচনা করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে হাজির হল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব ফোন করেছেন, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআই আধিকারিকেরা কী কারণে এসেছেন তা জানাননি। তাঁদের কাছে সার্চ করার নথি ছিল না। জানানো হল কলকাতা পুলিশের তরফে। ছাড়া পাওয়ার পর সিবিআই আধিকারিকরা অবশ্য জানালেন, তাঁদের কাছে সমস্ত কাগজ এবং নথি ছিল। কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেল ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাত সাড়ে আটটার পর ছেড়ে দেওয়া হল আটক সিবিআই আধিকারিকদের। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের কাঠামো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।বললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চিট ফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্ত চলছে। সিবিআই আধিকারিকেরা তদন্ত করতে গিয়েছিলেন। পুলিশ তাঁদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েছে। সিবিআই কর্তার বাড়ি এবং সিবিআই অফিস পুলিশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।তাঁদের প্রাণ সংশয় রয়েছে। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে পদক্ষেপ করতে বলছি। সংবিধান বাঁচাতে আমি ধর্নায় বসছি। আমি মেট্রো চ্যানেলের সামনে যাচ্ছি। এই ধর্না সংবিধান বাঁচানোর ধর্না: মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর আঘাত: মুখ্যমন্ত্রী সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি করছে ওরা: মুখ্যমন্ত্রী সার্চ ওয়ারেন্ট থাকলে আসতেই পারে ওরা। আমরাই চিট ফান্ড কেলেঙ্কারিতে সিট তৈরি করেছি। আমাদের তদন্ত কেন ওদের হাতে তুলে দেব: মুখ্যমন্ত্রী রাজীব কুমার পৃথিবীর অন্যতম সেরা: মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিই চোরেদের পার্টি: মুখ্যমন্ত্রী জরুরি অবস্থার থেকেও ভয়াবহ পরিস্থিতি: মুখ্যমন্ত্রী বাংলার অভ্যুত্থান করার চেষ্টা চলছে: মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপালের কাছে যাবে সিবিআই। নিজাম প্যালেসে কলকাতা পুলিশের টিম। এখানেই সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তার বাড়ি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল বীরেন্দ্র-ও। ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র এবং রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিলেন। শেক্সপিয়র সরণি থানায় আটক করে রাখা হয়েছে সিবিআই আধিকারিকদের। শেক্সপিয়র সরণি থানার সামনেও ব্যারিকেড তৈরি করেছে কলকাতা পুলিশ, ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশ কমিশনারের বাড়ি থেকেই সাংবাদিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ কমিশনারের বাড়িতেই বৈঠকে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘সাংবিধানিক অভ্যুত্থান’ করার চেষ্টা চলছে? টুইটারে প্রতিক্রিয়া ডেরেক ও ব্রায়েনের

পুলিশ কমিশনারের লাউডন স্ট্রিটের বাড়িতে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা জোর করে সিবিআই আধিকারিকদের গাড়িতে তুলে শেক্সপিয়র সরণি থানায় নিয়ে যান। পুলিশ কমিশনারের বাড়ির সামনে ব্যারিকেড তৈরি করেছে কলকাতা পুলিশ। নিজাম প্যালেসেও পৌঁছে গিয়েছে কলকাতা পুলিশের টিম, এখানেও আছে সিবিআই-এর অফিস। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে রীতিমত ধাক্কাধাক্কি এবং ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় সিবিআই আধিকারিকদের। কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা বলেন, আগাম খবর না দিয়ে কমিশনারের বাড়িতে এই ভাবে কেউ ঢুকতে পারেন না। কলকাতা পুলিশ গিয়ে পাল্টা অবরোধ করেছে সিজিও কমপ্লেক্সে, এখানেই সিবিআইয়ের অফিস। কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের সরকারি বাংলোয় পৌঁছয় সিবিআই আধিকারিকরা। লাউডন স্ট্রিটে পুলিশ কমিশনারের সরকারি বাসভবনে আগে থেকেই মোতায়েন ছিলেন শীর্ষ পুলিশ কর্তারা। সিবিআই আধিকারিকরা লাউডন স্ট্রিটে পৌঁছোনর ঠিক এক ঘণ্টা আগেই লালবাজারে কলকাতা পুলিশের সদর দফতরে বসে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (১) জাভেদ শামিম বলেন, তাঁরা কড়া আইনি ব্যবস্থা নেবেন।

(এই খবরটি সবেমাত্র দেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত খবরটি কিছু ক্ষণের মধ্যেই আসছে। অপেক্ষা করুন। পাতাটি কিছু ক্ষণ পর পর রিফ্রেশ করুন। আপডেটেড খবরটি আপনি দেখতে পাবেন। অতি দ্রুততার সঙ্গে আপনার কাছে খবর পৌঁছে দেওয়ার সময়েও আমরা খবরের সত্যাসত্য সম্পর্কে সচেতন। সেই জন্যই যে কোনও ‘খবর’ পাওয়ার পর, তার সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই আমরা তা প্রকাশ করি। ফেক নিউজ বা ভুয়ো খবরের রমরমার সময়ে এটা আরও বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন