CBI

নারদ-কাণ্ডে ফের ম্যাথুকে সিবিআই তলব, দ্বিতীয় দফায় অভিযুক্তদের জেরার প্রস্তুতি

আগামী ২৪ জুন সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে কলকাতার নিজাম প্যালেসে তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৯ ১৭:২৯
Share:

ম্যাথু স্যামুয়েল। ফাইল চিত্র

নারদ তদন্তে ফের সক্রিয় সিবিআই। পুলিশ কর্তা এসএমএইচ মির্জাকে দু’দফায় জেরার পর, এবার নারদ স্টিং অপারেশনের হোতা ম্যাথু স্যামুয়েলকেই তলব করলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। আগামী ২৪ জুন সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে কলকাতার নিজাম প্যালেসে তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ম্যাথুকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, “আমাকে সিবিআই ডেকেছে। নিশ্চয়ই যাব।”

Advertisement

কিছু দিন আগেই কলকাতা ঘুরে গিয়েছেন সিবিআইয়ের অতিরিক্ত অধিকর্তা নাগেশ্বর রাও। সিবিআই সূত্রে খবর, চিটফান্ড এবং নারদ তদন্তে যে সব অফিসারেরা যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি সারদা এবং নারদ তদন্ত দ্রুত শেষ করার নির্দেশও দেন।

বেশ কয়েক মাস তদন্ত থমকে থাকলেও, নতুন করে নারদ কাণ্ডে সক্রিয় সিবিআই। ইতিমধ্যেই এসএমএইচ মির্জাকে জেরা করে নতুন তথ্যও মিলেছে বলে দাবি তাদের। নারদ-ভিডিয়ো ফুটেজে (যদিও আনন্দবাজার তার সত্যতা যাচাই করেনি) টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল ওই পুলিশ কর্তাকে। তিনি কারও নির্দেশে ওই টাকা নিয়েছিলেন কিনা, সে বিষয়ে গোয়েন্দারা তাঁর কাছে জানতে চান। তিনি এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানিয়েছেন।

Advertisement

ম্যাথু স্যামুয়েলকে দেওয়া সিবিআইয়ের নোটিশ। - নিজস্ব চিত্র।

আরও পড়ুন : তোলাবাজির টাকা ফেরত দিতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিলেন তৃণমূল নেত্রী

আরও পড়ুন : রাম আর আল্লাকে মিলিয়ে দিয়ে সংসদে নতুন ইনিংসের শুরুতেই সেঞ্চুরি অধীরের

এর পাশাপাশি ওই ফুটেছে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদেরও টাকা নিয়ে দেখা গিয়েছিল। কেন তাঁরা ‘ছদ্মবেশী সাংবাদিক’ ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন, এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ ছিল কিনা, তা-ও স্পষ্ট করে জানতে চান গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যে কয়েকজন অভিযুক্তকে জেরা করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেননি গোয়েন্দারা। তাই দ্বিতীয় দফায় জেরার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সে কারণেই নতুন করে জেরা করার আগে, ফের ম্যাথুর সঙ্গে কথা বলতে চায় সিবিআই।

২০১৪ সালে ওই স্টিং অপারেশন করা হলেও, ২০১৬ সালে এ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে বিষয়টি জনসমক্ষে আসে। তার পর রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় হয়ে যায়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তে নামে সিবিআই। যদিও ওই টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তৃণমূল। এর পিছনে চক্রান্ত রয়েছে বলেও দাবি করেন তৃণমূলের নেতৃত্বরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন