Narada sting operation

Narada Scam: শুভেন্দু, সৌগতদের বিরুদ্ধে নারদ মামলা এগোতে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিল সিবিআই: রিপোর্ট

চার নেতামন্ত্রীকে নারদ মামলায় গ্রেফতারের পর প্রশ্ন উঠেছে, ২ বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায় ছাড় পেলেন কেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২১ ১৮:৪২
Share:

শুভেন্দু অধিকারী, সৌগত রায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং অপরূপা পোদ্দার।

নারদ মামলায় অভিযুক্ত তৎকালীন সাংসদদের বিরুদ্ধেও এ বার মামলা এগিয়ে নিয়ে যেতে লোকসভার স্পিকারের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রকে উদ্ধৃত করে এই খবর দিয়েছে বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। সে ক্ষেত্রে নতুন করে মামলা-প্রক্রিয়া শুরু হবে তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও। রাজ্যের চার নেতা-মন্ত্রীকে নারদ মামলায় গ্রেফতারের পর প্রশ্ন উঠেছে, দুই বর্তমান বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু এবং মুকুল রায় ছাড় পেলেন কেন। সিবিআই-এর দাবি, শুভেন্দু এবং মুকুল এখন বিধায়ক হলেও ২০১৬ সালে ওই মামলা শুরুর সময় তাঁরা সাংসদ ছিলেন। শুভেন্দু লোকসভার সদস্য ছিলেন। মুকুল ছিলেন রাজ্যসভায়। ফলে এঁদের বিরুদ্ধে কিছু করতে গেলে লোকসভার স্পিকার এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের অনুমতি লাগবে।

Advertisement


মামলায় অভিযুক্ত তৎকালীন লোকসভা সাংসদদের মধ্যে শুভেন্দু ছাড়াও ছিলেন তৃণমূলের সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অপরূপা পোদ্দার। শেষোক্ত চারজন এখনও লোকসভার সদস্য। তবে কোনও আইনসভার সদস্যকে গ্রেফতার করতে গেলে সংশ্লিষ্ট সভার স্পিকারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানোর প্রয়োজন পড়ে না বলেই ভারত সরকারের ‘ইন্ডিয়া কোড’-এ বলা রয়েছে। সেখানে বলা রয়েছে, একমাত্র সিভিল এবং কটূক্তিজনিত মামলায় সংশ্লিষ্ট স্পিকারকে জানানো যেতে পারে। তা-ও যদি সেইসময় সংশ্লিষ্ট আইনসভার অধিবেশন চালু থাকে। তবে সেটি বাধ্যতামূলক নয়। ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে তারও প্রয়োজন পড়ে না। স্পিকারকে জানানোর বিষয়টি ‘ঔপচারিকতা এবং রেওয়াজ’ বলেই প্রশাসনিক মহলের একাংশের বক্তব্য। ফলে সিবিআই সৌগত-শুভেন্দুদের গ্রেফতারের জন্য স্পিকারকে যদি চিঠি দিয়েও থাকে, সেটিও ‘ঔপচারিকতা’ বলেই গণ্য হবে বলে আধিকারিকদের বক্তব্য। বস্তুত, সে ক্ষেত্রে শুভেন্দু-সহ অন্যদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে স্পিকারের অনুমতিরও প্রয়োজন হবে না। যেমন রাজ্যের তিন নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রেও ‘অনুমতি’র প্রয়োজন হয়নি। গ্রেফতারের পর তারা চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে শুধু।


সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে লোকসভার বর্তমান স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এর আগেও ওই সংক্রান্ত বিষয়ে অনুমতি চেয়ে সিবিআই তিনবার সংসদের দুই কক্ষের স্পিকার এবং চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে নতুন করে কোনও চিঠি দেওয়া হয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন