এনএইচএ রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ওই ১৯৩ কোটি টাকা ফেরত চেয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প শুরুর সময় রাজ্যকে দেওয়া ১৯৩ কোটি টাকা ফেরত চাইল কেন্দ্রীয় সরকার।
‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পে থাকতে রাজি হয়নি রাজ্য। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করেছিলেন ন্যাশনাল হেলথ অথরিটি (এনএইচএ)-র সিইও ইন্দু ভূষণ। কিন্তু সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি রাজ্য। জানুয়ারির গোড়াতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন প্রকল্পটি রাজ্য নিতেই চালাবে। এর পরে রাজ্যের নিজস্ব প্রকল্প ‘স্বাস্থ্যসাথী’ আরও ৭০ লক্ষ উপভোক্তার নাম যুক্ত হয়েছে।
সম্প্রতি এনএইচএ রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ওই ১৯৩ কোটি টাকা ফেরত চেয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তা বলেন,‘‘আমরা চিঠি পেয়েছি। টাকা ফেরত দেওয়া হবে কি না, তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হবে।’’ তবে ওই বরাদ্দের একাংশ স্বাস্থ্য প্রকল্পেই খরচ হয়ে গিয়েছে বলে জানান রাজ্যের এক কর্তা।
আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে অল্প সময়ের জন্য শরিক হয়েছিল রাজ্য। এখন নবান্নের সর্বোচ্চ স্তরে সিদ্ধান্ত হলে অর্থ দফতরের কাছে টাকা নিয়ে তা দিল্লিকে মেটাতে হবে।
কেন্দ্রের দাবি, এই প্রকল্পে থাকার জন্য রাজ্যকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছিল। গত ১১ জানুয়ারি ইন্দু ভূষণ রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব রাজীব সিনহাকে চিঠি লিখে বলেছিলেন, ‘ইতিমধ্যেই ১৯৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রাজ্যের ৫০ লক্ষ বা রাজ্যের ২৫% পরিবার সুবিধা পাচ্ছিল। আয়ুষ্মান ভারত আসার পর রাজ্যের ১.১ কোটি বা রাজ্যের ৫৫% পরিবার ৫ লাখ টাকার বিমার সুবিধা পাবে। এই প্রকল্প থেকে বেরিয়ে গিয়ে রাজ্য কি গরিব মানুষকে বিমার সুবিধা থেকে বঞ্চিত করতে চায়? রাজ্যের ১ কোটি ১০ লক্ষ গরিব মানুষের চিকিৎসা বিমার কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন’।
রাজ্য সেই প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ার এখন বরাদ্দ টাকা ফিরিয়ে দিতে পাল্টা চাপ দিচ্ছে কেন্দ্র। রাজ্যর এক কর্তা বলেন, ‘‘টাকা ফেরত দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে প্রকল্প নিজেরাই চালাব। ৭০০ কোটি টাকা খরচ হবে। নবান্নই তা মেটাবে। এ নিয়ে এত রাজনীতির দরকার নেই।’’