অনাস্থা মামলায় যুক্ত হবেন চেয়ারপার্সনও

সব্যসাচীর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই বিশেষ বৈঠক ডেকেছেন পুরসভার কমিশনার। এ দিনের শুনানিতে মেয়রের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, পুরসভার কমিশনারের অনাস্থা নোটিস পাঠানোর এক্তিয়ার নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৯ ০৩:০৬
Share:

সব্যসাচী দত্ত। ফাইল চিত্র

অনাস্থা নোটিস চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছেন বিধাননগর পুরসভার মেয়র সব্যসাচী দত্ত। সোমবারের শুনানিতে পুরসভার চেয়ারপার্সনকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। আজ, মঙ্গলবার ফের শুনানি।

Advertisement

সব্যসাচীর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই বিশেষ বৈঠক ডেকেছেন পুরসভার কমিশনার। এ দিনের শুনানিতে মেয়রের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, পুরসভার কমিশনারের অনাস্থা নোটিস পাঠানোর এক্তিয়ার নেই। পুর আইন অনুযায়ী তা পাঠানোর কথা চেয়ারপার্সনের। তা শুনে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্তের যুক্তি, সে ক্ষেত্রে চেয়ারপার্সনকেও মামলায় যুক্ত করা দরকার। তাঁর বক্তব্যও শোনা উচিত। সেই প্রেক্ষিতেই চেয়ারপার্সনকে মামলায় যুক্ত করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি। শুনানির শুরুতেই বিকাশবাবু জানান, সব্যসাচীকে অনাস্থার নোটিসে কমিশনার লিখেছেন, তিনি চেয়ারপার্সনের নির্দেশ মেনে ওই নোটিস দিচ্ছেন। কোন কোন কাউন্সিলর তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন, তা মেয়রকে জানানো হয়নি। নোটিসে কমিশনারের সইও নেই বলে অভিযোগ করেন মেয়রের আইনজীবী। তিনি এ-ও অভিযোগ করেন, যে সব কাউন্সিলর বেআইনি নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাঁরা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন কি না, তা-ও মেয়রের জানা নেই। বেআইনি নির্মাণের বিষয়টি মেয়র মুখ্যমন্ত্রী ও পুরমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিচারপতি বলেন, ‘‘ভিআইপি রোডের দু’ধারের নয়ানজুলি যে ভরাট করা হয়েছে, তা তাঁর নজরে এসেছে। সরকার কি তা জানে না? ভরাটকারীদের কারা মদত দিয়েছে? খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’’

এজি পাল্টা দাবি করেন, যাঁরা অনাস্থার প্রস্তাব দিয়েছেন, তাঁদের নাম মেয়রকে জানাতে হবে এমন নিয়ম নেই। মেয়র কে হবেন, তা বেছে নেন কাউন্সিলরেরা। আবার কাউন্সিলরেরাই মেয়রকে সরাতে পারেন। তাই এই মামলায় কাউন্সিলরদেরও যুক্ত করা দরকার। তা শুনে বিকাশবাবু বলেন, কোন কাউন্সিলরদের মামলায় যুক্ত করবেন তাঁর মক্কেল? কারা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন, তা তো মেয়রকে জানানোই হয়নি।

Advertisement

পুরসভার পক্ষে রাজ্যের অতিরিক্ত এজি অভ্রতোষ মজুমদার যুক্তি দেন, পুরসভার ‘বিজনেস রুল’ অনুযায়ী কমিশনারের বদলে যুগ্ম কমিশনারও নোটিস দিতে পারেন। মেয়রকে পাঠানো অনাস্থা নোটিসে যুগ্ম কমিশনারের সই রয়েছে। কমিশনার গত বছরও এক মাস ছিলেন না। সেই সময় যুগ্ম কমিশনার বিভিন্ন নোটিসে সই করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন