Chief Minister

পুজো কমিটিগুলোকে ৫০ হাজারের অনুদান মুখ্যমন্ত্রীর

পুজোর প্যান্ডেল করার ক্ষেত্রেও কোন কোন নিয়ম মানতে হবে এ দিন সে কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:২৬
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

পুজো দেখা যাবে তৃতীয়া থেকেই। তবে সমস্ত রকমের বিধিনিষেধ মেনে। এমনকি কোনও রকমের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এ বার করা যাবে না। ভিড় করা যাবে না বিসর্জনের শোভাযাত্রায়। হবে না রেড রোডের কার্নিভালও। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে পুলিশ, প্রশাসন এবং পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি ঠিক নয় বলে পুজো কমিটিগুলিকে ফের আর্থিক অনুদানের কথাও ঘোষণা করেন তিনি।

Advertisement

পুজোর প্যান্ডেল করার ক্ষেত্রেও কোন কোন নিয়ম মানতে হবে এ দিন সে কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজো করার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রশাসনের কাছ থেকে যে অনুমতি নিতে হয়, সে ক্ষেত্রেও কোনও রকমের ফি দিতে হবে না। দমকল, পুরসভা, পঞ্চায়েত— সব জায়গাতেই এই নিয়ম প্রযোজ্য। সিইএসসি এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার কাছ থেকে পুজোর ক’দিনের জন্য নেওয়া বিদ্যুতের বিলে কমিটিগুলো পাবে ৫০ শতাংশ ছাড়। একই সঙ্গে মমতা প্রতিটি পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদানের কথাও ঘোষণা করেন। আশাকর্মী এবং সিভিক ভলেন্টিয়ারদের এক হাজার টাকা করে বেতন বৃদ্ধি এবং রাজ্য সরকারের কাছে নথিবদ্ধ হকারদের পুজোর সময় দু’ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা এ দিন বলেন, “তৃতীয়া থেকে পুজো দেখার অনুমতি থাকবে। আমাদের সাধ্য মতো সাহায্য করব ক্লাবগুলোকে। ওদের হাতে টাকা নেই। প্রায় ৩৭ হাজার পুজো কমিটির নাম রেজিস্টার রয়েছে। তার মধ্যে কলকাতায় আড়াই হাজার। মহিলা পরিচালিত পুজোও রয়েছে। এ বার পরিস্থিতি খারাপ। তাই পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে ভালবাসার উপহার দেওয়া হবে।” পুলিশ-প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ক্লাবগুলোর সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলতে হবে। ১০ বছরের বেশি পুজো হয়ে গিয়েছে, এ বার তাদেরও অনুমতি দিয়ে দিতে হবে। আগে থেকে পরিকল্পনা করে নিতে হবে গোটা বিষয়টি। বিসর্জনে বেশি ভিড় করা যাবে না।” পুজোর সময় যে সব সংস্থা পুরস্কার দেয় তারা যাতে দু’টির বেশি গাড়ি না নিয়ে মণ্ডপে যায় এবং প্রয়োজনে যদি ভার্চুয়ালি মণ্ডপ দেখে নেওয়া যায় সে পরামর্শও দিয়েছেন সেই অনুরোধও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

আরও পড়ুন: জিও আনল পাঁচ নতুন প্ল্যান, শুরু ৩৯৯ টাকা থেকে

আরও পড়ুন: বিরোধীদের অনুপস্থিতির সুযোগে বিতর্ক ছাড়াই রাজ্যসভায় দু’দিনে ১৫টি বিল পাশ মোদী সরকারের

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে এ বার বিরত থাকার অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এ বার করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না করাই ভাল। অনলাইনে ‘আসান’-এর মাধ্যমে ২ তারিখ থেকে পুজোর অনুমতির জন্য আবেদন জানানো যাবে। মন্ডপে আলাদা ঢোকা এবং বেরনোর পথ করতে হবে। দরকার পড়লে চক দিয়ে গোল দাগ কেটে দিতে পারেন। হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্কের ব্যবস্থা করতে হবে। কেউ যদি মাস্ক না পরে আসে, তাঁকে অনুরোধ করতে হবে। পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবীদের মাস্ক এবং ফেস শিল্ড পরতে হবেই।” এ দিন বৈঠকে পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ধর্মগুরুরাও। উদ্যোক্তাদের তিনি বলেন, “চার দিকে না ঢেকে, খোলামেলা প্যান্ডেল করুন। মণ্ডপে ভিড় করা যাবে না। প্রত্যেককেই পরতে হবে মাস্ক। দূরত্ববিধির বিষয়ে আগে থেকেই সচেতনতা প্রচার করতে হবে। সিঁদুর খেলা, প্রসাদ বিতরণ এবং অঞ্জলি দেওয়ার সময় সংক্রমণের ঝুঁকি যাতে না থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। ”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন