দুই গোষ্ঠীর বিবাদে বোমাবাজি ও বাইকে আগুন, উত্তপ্ত কামারহাটি

স্থানীয়দের একাংশ জানান, আদালতের ঘটনার শোধ নিতে এ দিন প্রচুর বহিরাগত যুবককে নিয়ে আসে আনোয়ার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২০ ০৭:৪৫
Share:

গন্ডগোল: কামারহাটির রাস্তায় জ্বলছে বাইক। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর পুরনো বিবাদের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কামারহাটি। শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় চলে বোমাবাজি। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাড়ি ভাঙচুরও হয়। একাধিক বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় টহল দিতে হয় পুলিশ কমিশনারকেও। এলাকাবাসীর অভিযোগ, গোলমাল ঘিরে দু’-তিন রাউন্ড গুলিও চলেছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ তথা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কালামউদ্দিন আনসারির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ এলাকারই দুষ্কৃতী আনোয়ার হোসেনের দলের। গত বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর আদালতে একটি মামলার সাক্ষ্য দিতে গিয়েছিল আনোয়ার ও তার দলবল। সেখানে তাদের সঙ্গে কালামউদ্দিনের ছেলেদের বচসা হয় বলে অভিযোগ।

স্থানীয়দের একাংশ জানান, আদালতের ঘটনার শোধ নিতে এ দিন প্রচুর বহিরাগত যুবককে নিয়ে আসে আনোয়ার। অভিযোগ, দুপুরে ম্যাকেঞ্জি রোড দিয়ে যাওয়ার সময়ে কালামউদ্দিনের ছেলেকে চপার দিয়ে আঘাত করে বিপক্ষের লোকজন। এই ঘটনার পরে কালামউদ্দিনের ঘনিষ্ঠেরাও বেরিয়ে পড়ে। বিকেল থেকেই দু’টি দলের মধ্যে শুরু হয় গোলমাল। দুই পক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে মুড়িমুড়কির মতো বোমা ছুড়তে শুরু করে। বোমার আঘাতে স্থানীয় দু’জন আহত হন। বিকেল হতেই শুরু হয় বাইক, গাড়ি ভাঙচুর। খবর পেয়ে বেলঘরিয়া-সহ আশপাশের থানা থেকে আসে পুলিশ।

Advertisement

এর পরে কামারহাটির তুঁতবাগান, দাশুবাগান, ছাইগাদা মাঠ-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার অলিগলিতে গোলমাল ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ ভয়ে ছোটাছুটি শুরু করে দেন। দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ বেশ কিছু তাজা বোমা উদ্ধার করে। এর পরে শুরু হয় বাইকে আগুন ধরানো। ৬-৭টি বাইক বিভিন্ন জায়গায় জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ঘিঞ্জি এলাকায় ঢুকতে দমকলকে বেগ পেতে হয়। শেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিশাল বাহিনী নিয়ে কামারহাটি পৌঁছন কমিশনার মনোজ বর্মা। পরে তিনি বলেন, ‘‘এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রাখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। কেউ গ্রেফতার হয়নি।’’

কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, ‘‘এটি কোনও রাজনৈতিক বিষয় নয়। দুই ব্যক্তির নিজস্ব সমস্যা। তা নিয়েই দু’জনের বচসা। তবে এমন বিশৃঙ্খলা চলতে পারে না। পুলিশকে বলেছি দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন