রাজ্যের এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মাইগ্রেশন’ সংক্রান্ত জটিলতা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই তৎপর হয়েছেন। প্রয়োজনে আইন সংশোধন করা হবে বলে জানালেন তিনি। পাশাপাশি, যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন নিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে যে-সব ঘটনা ঘটেছে, তা যে তাঁর পছন্দ নয়, সেটাও শুক্রবার বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের প্রাক্তনীদের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কেউ যদি জেভিয়ার্সে পড়েন, তিনি চাইলে যাদবপুর বা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবেন না কেন? এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে আইন সংশোধন করতে হবে।’’
সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফেলিক্স রাজ ওই অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন, আগামী বছর কলকাতায় সেন্ট জেভিয়ার্স আইন কলেজ চালু হবে। এই উদ্যোগকে অভিনন্দন জানিয়ে মাইগ্রেশন-সমস্যার উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, কলকাতার ছেলেমেয়েরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছেন না। অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের নাম করেই তিনি বলেন, ‘‘এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না-পারলে অন্য ২৩টি বিশ্ববিদ্যালয় কী করবে?’’ এই রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা যাতে অন্যত্র চলে না-যান, সে-দিকে লক্ষ রাখা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় পাল্টাতে আইন বদল চান মমতা
তার পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দিকে তাকিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনারা কাউকে ডাকেন না। গেলেও আবার....। রাজ্যপাল গেলেও বয়কট করেন। বড় জিনিসকে বড় করতে দিতে হয়। হৃদয়টাকে বড় করতে হয়।’’ কয়েক বছর আগে ‘হোক কলরব’ আন্দোলনের সময় এক ছাত্রী রাজ্যপাল তথা আচার্যের হাত থেকে ডিগ্রি নিতে অস্বীকার করেছিলেন। প্রেসিডেন্সির ছাত্র আন্দোলনের জেরে এ বছর ক্যাম্পাসের বাইরে, নন্দনে সমাবর্তন করতে হয়েছিল। সেই বিষয়েও কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সেন্ট জেভিয়ার্সের আসানসোল ক্যাম্পাসের জন্য দ্রুত জমির বন্দোবস্ত করতে বলেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে।