প্রতীকী ছবি।
মরসুমের শুরুতে ছিল নিতান্তই ঠুকঠুকে টেস্ট ব্যাটিং। আর ভরা পৌষে শীতের ব্যাটে যেন সাইক্লোন!
কয়েক দিন ধরে পারদ পতন অব্যাহত। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের একাংশ জু়ড়ে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। পারদের আরও পতনের সম্ভাবনা দেখছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
রবিবার কলকাতার আলিপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার তা থেকে সামান্য কমে পারদ ঠেকেছে ১০.৫ ডিগ্রিতে। দমদমে এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ন’ডিগ্রি। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর, মালদহে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। অর্থাৎ রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি বা তার নীচে রয়েছে। জলপাইগুড়িতে রাতের তাপমাত্রা নেমেছে ৩.৮ ডিগ্রিতে। হাওয়া অফিস সূত্রের দাবি, দার্জিলিঙে রাতের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে পৌঁছেছে। বিহারের পূর্ণিয়ায় এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১.২ ডিগ্রি।
‘‘শীতের কাঁপুনি তো চলবেই। তাপমাত্রা আরও কিছুটা নামতে পারে,’’ বলছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস। শীতের জন্য হাপিত্যেশ করে বসে ছিলেন শীতপ্রেমীরা। এখন ঠান্ডায় জবুথবু অনেকেই। রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তার মন্তব্য, ‘‘কাঁপুনি কোথায়? এ তো শীতের দাপানি!’’
আবহাওয়া দফতরের বিজ্ঞানী বলছেন, ডিসেম্বরে বারবার ঘূর্ণাবর্ত-নিম্নচাপ শীতের পথে কাঁটা ছড়ালেও এখন ওই সব প্রাকৃতিক প্রবণতার নামগন্ধ নেই। জোরালো পশ্চিমি ঝঞ্ঝার (ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা ভারী হাওয়া) প্রভাবে কাশ্মীরে তুষারপাত চলছে। তার ফলে উত্তুরে হাওয়ায় ভর করে আসছে কনকনে ঠান্ডা। গণেশবাবু জানান, উত্তর-পশ্চিম ভারতে তাপমাত্রা আরও নেমেছে। হরিয়ানার নার্নুলে রাতের তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির ঘরে। তার উপরে উত্তুরে হাওয়ার দাপটও বেড়েছে। সেই জোরালো উত্তুরে হাওয়ার দাপটে পারদের আরও পতন-সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।