সন্ময়কে তুলে নিয়ে গেল কারা, সরব দল

পরিবহণ দফতরে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আনার পর থেকেই পুরুলিয়া, রঘুনাথপুর, নন্দীগ্রাম-সহ নানা থানায় সন্ময়বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৯ ০২:৩৬
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

সামাজিক মাধ্যমে তাঁর লেখালেখির জেরে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল রাজ্যের একাধিক থানায়। প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর পাড়া থেকেই তুলে নিয়ে যাওয়া হল। সন্ময়বাবুর পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁকে গ্রেফতার করেনি। পাড়ার একটি বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে ৫০-৬০ জনের একটি দল তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। খড়দহ থানায় অপহরণের অভিযোগ করতে গেলেও এফআইআর নেওয়া হয়নি বলে পরিবারের অভিযোগ। ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিশ। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, তাঁরা এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। পুলিশ ও শাসক দলের বাহিনী দিয়ে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার অভিযোগ এনে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস।

Advertisement

পরিবহণ দফতরে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আনার পর থেকেই পুরুলিয়া, রঘুনাথপুর, নন্দীগ্রাম-সহ নানা থানায় সন্ময়বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাঁর পরিবারকেও হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। তার পর থেকেই সন্ময়বাবু বাড়িছাড়া। তাঁর দাদা তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘পাড়ার একটা বাড়িতে সন্ধ্যায় ৫০-৬০ জনের একটা দল দরজা ভেঙে ঢুকে ওকে তুলে নিয়ে যায়। এরা তৃণমূলের বাহিনী। আমরা খড়দহ থানায় অপহরণের অভিযোগ করতে গেলে জানানো হয়, পুরুলিয়া থেকে পুলিশ ভাইকে নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কোনও পরোয়ানা ছাড়া, কোনও কারণ না দেখিয়ে এ ভাবে কাউকে গ্রেফতার করা যায়?’’ পুরুলিয়ার পুলিশ যদিও গ্রেফতারের কথা স্বীকার করেনি।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলে অপর্ণা সেনদের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়, আর এখানে সমালোচককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়!’’ কংগ্রেস কর্মীদের রাজনৈতিক ‘সন্ত্রাসে’র বিরুদ্ধে পথে নেমে প্রতিবাদ জানানোর ডাক দিয়েছেন লোকসভায় দলের নেতা অধীর চৌধুরী। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেছেন, এ দিনের ঘটনা নিয়ে কিছুই তাঁদের জানা নেই।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন