CPM

Left-Congress: রফা অধরা, শান্তিপুরে লড়ছে বাম ও কংগ্রেস

সদ্য ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২১ ০৭:১৮
Share:

শান্তিপুরে প্রচারে সিপিএম প্রার্থী সৌমেন মাহাতো। নিজস্ব চিত্র।

কয়েক দফার আলোচনাতেও রফা হল না। শেষ পর্যন্ত শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে লড়াই হচ্ছে সিপিএম ও কংগ্রেসের। আগেই ওই কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছিল সিপিএম। এআইসিসি-র তরফে বৃহস্পতিবার রাতে জানিয়ে দেওয়া হল, শান্তিপুরে কংগ্রেসের প্রার্থী হচ্ছেন রাজু পাল। এআইসিসি-র আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই এ দিন রাজু অবশ্য মনোনয়ন জমা দিয়ে দিয়েছেন! বাকি তিন কেন্দ্র দিনহাটা, খড়দহ ও গোসাবার উপনির্বাচনে অবশ্য প্রার্থী দিচ্ছে না কংগ্রেস। সেখানে থাকছেন বাম প্রার্থীরা।

Advertisement

সদ্য ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। বিধানসভা ভোটে জোটের হিসেবে ধরলে ভবানীপুর ছিল কংগ্রেসের ভাগে। কংগ্রেস সরে দাঁড়ানোয় ভবানীপুরে প্রার্থী দিয়েছিল সিপিএম। আবার এখন শান্তিপুরে সিপিএম প্রার্থী দেওয়ার পরে কংগ্রেসও প্রার্থী দিল। সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর এই ব্যাপারে কয়েক দফা কথা হয়েছে। সূত্রের খবর, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র প্রদেশ সভাপতিকে অনুরোধ করেছেন, জোটের বিষয়ে কংগ্রেস অবস্থান নির্দিষ্ট করুক। নইলে এক এক জায়গায় এক এক বার এক এক রকম অবস্থানের সঙ্গে বামেদের মতো অনুশাসন-ভিত্তিক দলের মানিয়ে চলতে সমস্যা হচ্ছে! কংগ্রেস অবশ্য বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পরে দলের লাইন এখনও পাকা করতে পারেনি।

শান্তিপুরে ৬ মাস আগে বিধানসভা নির্বাচনের সময়েও প্রার্থী দেওয়া নিয়ে বাম ও কংগ্রেসের টানাপড়েন বেধেছিল। শেষ পর্যন্ত প্রার্থী দেওয়ার দাবি তুলে নিয়েছিল সিপিএম, লড়েছিল কংগ্রেসই। আসনটি অবশ্য জিতেছিল বিজেপি। এ বার বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে অনুরোধ করেছিলেন, তাঁরা শান্তিপুরে লড়তে চান। অধীরবাবু তাঁকে বলেন, নদিয়া জেলা কংগ্রেসও ওই আসন ছেড়ে দিতে চায় না। জেলায় কথা বলে আলিমুদ্দিনকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তার পরে কয়েক দিনে কংগ্রেসের তরফে কিছু জানানো না হওয়ায় সিপিএম প্রার্থী হিসেবে সৌমেন মাহাতোর নাম ঘোষণা করে দেয়। প্রদেশ কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে বুধবার ভার্চুয়াল আলোচনা করেন অধীরবাবু। সেখানে ঠিক হয়, বিধানসভা ভোটের সময়কার সূত্র মেনে শান্তিপুরে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে, বাকি তিন কেন্দ্র বামেদের ছেড়ে দেওয়া হবে। বিমানবাবু, সূর্যবাবুদের অনুরোধ শেয পর্যন্ত আর কংগ্রেস বিবেচনা করেনি। অধীরবাবুর যুক্তি, তাঁরা বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে হওয়া সমঝোতা-সূত্রই ধরে রাখতে চেয়েছেন।

Advertisement

তৃণমূল-বিজেপি মেরুকরণের আবহে বাম ও কংগ্রেসের ভোট-বাক্সে এখন প্রবল খরা। তবে এলাকায় পরিচিত নেতা ও কাউন্সিলর সৌমেনকে সামনে রেখে শান্তিপুরে লড়াই দেওয়া যাবে বলে সিপিএমের আশা। কংগ্রেস ও বাম নেতৃত্বের একাংশের ধারণা, জেলা স্তরে যে হেতু দু’দলের বিরোধ আছে, এমতাবস্থায় কংগ্রেসের প্রার্থী না থাকলে তাদের ‘পকেট ভোট’ বিজেপিতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। সিপিএম ও কংগ্রেস, দু’পক্ষেরই প্রার্থী থাকায় আখেরে বিজেপির অসুবিধা হবে বলে ওই অংশের মত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন