ফাইল চিত্র।
করোনার থাবা এ বার কলকাতা বন্দর হাসপাতালে। তার জেরে বন্ধ হয়ে গেল সেখানকার প্যাথোলজি বিভাগ। আক্রান্ত হয়েছেন হাসপাতালের প্যাথোলজি বিভাগের দুই কর্মী, এক জন ডেটা এন্ট্রি অপারেটর এবং তিন জন সাফাইকর্মী। আক্রান্তদের পরিবারের ৩ জন সদস্যও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ন’জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। যে কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা চুক্তিভিত্তিতে ওই হাসপাতালে কাজ করেন। তাঁদের প্রত্যেকেরই চিকিৎসা চলছে। আপতত তাঁরা সুস্থ রয়েছেন। তাঁরা কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন, তাঁদের সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন, তাঁর একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
সোমবার বন্দর কর্তৃপক্ষের পদস্থ কর্তারা মাঝেরহাটের ওই হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। কী কী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা উচিত, তারও পরামর্শ দেন। কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান বিনিত কুমার জানিয়েছেন, লকডাউন ঘোষণা হলেও বন্দরের কাজকর্মে বন্ধ হয়নি। জাহাজের মাধ্যমে পণ্য ওঠানামা করছে। কর্মীরা কাজ করছেন।
করোনা মোকাবিলায় কলকাতা থেকে বিভিন্ন জেলা-সহ রাজ্যের অনেক হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীরা কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। বেসরকারি হাসপাতালেও করোনা থাবা বসিয়েছে। চিকিৎসক থেকে নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালের স্বাভাবিক কাজকর্মী বন্ধও রাখতে হয়েছে। এ বার সেই তালিকায় চলে এলে বন্দরের এই হাসপাতালের নামও। কলকাতা বন্দরের জনসংযোগ আধিকারিক সুজয়কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। আরও কয়েক জনের পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। আপাতত প্যাথোলজি বিভাগ বন্ধ রেখে জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে।”
আরও পড়ুন: দায়ী চিন? করোনা নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তে ভারত-সহ ৬২ দেশ
আরও পড়ুন: ফণীর মতোই বিপুল বেগে রাজ্যের ছয় জেলা লন্ডভন্ড করতে পারে আমপান