Jiban Krishna Saha

জামিন পেলেন না জীবনকৃষ্ণ! এসএসসি নিয়োগ মামলায় বিধায়কের কাছে থেকে কোথায় গিয়েছে টাকা? জানতে চায় ইডি

নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত জীবনকৃষ্ণ সিবিআইয়ের মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন। ওই মামলায় তিনি জামিনও পেয়ে যান। পরে ইডি আবার তাঁকে গ্রেফতার করে। কেন পুনরায় গ্রেফতার করতে হল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল আদালতে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:০৫
Share:

মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। নিয়োগ মামলায় বৃহস্পতিবার খারিজ হয়ে গিয়েছে তাঁর জামিনের আর্জি। — ফাইল চিত্র।

নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত জীবনকৃষ্ণ সাহার জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গেল আদালতে। বৃহস্পতিবার বিচার ভবনে তাঁর জামিনের আর্জির শুনানি ছিল। বিচারক সেই আর্জি খারিজ করে দেন। আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Advertisement

বৃহস্পতিবার শুনানির সময়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আইনজীবী আদালতে জানান, নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় যে টাকা জীবনকৃষ্ণের কাছে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, সেই টাকা তাঁর উপরের স্তরে কার কাছে গিয়েছে— তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। যদিও বিধায়কের আইনজীবীর বক্তব্য, গ্রেফতারির আগে এবং পরে তাঁর বয়ান সংগ্রহ করা হয়েছে। চার্জশিটও জমা হয়ে গিয়েছে। এ অবস্থায় তাঁকে যাতে যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানান জীবনকৃষ্ণের আইনজীবী। তবে সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন বিচার ভবনের বিশেষ ইডি আদালতের বিচারক। জীবনকৃষ্ণের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারক জানান, ২৫ হাজার জনের জীবন নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর নিয়োগ প্রক্রিয়ার দুর্নীতির অভিযোগে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পুজোর ছুটির মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে মামলায় চার্জশিট জমা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরই মধ্যে ওই মামলায় জামিনের আর্জি জানান বিধায়ক। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়।

Advertisement

বস্তুত, নিয়োগ মামলায় জীবনকৃষ্ণকে এর আগে অপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইও গ্রেফতার করেছিল। তাতে উচ্চ আদালত থেকে জামিনও পেয়ে যান তিনি। তার পরে কেন জীবনকৃষ্ণকে আবার গ্রেফতারের প্রয়োজন পড়ল, তা নিয়ে আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল ইডিকেও।

বড়ঞার বিধায়কের বিরুদ্ধে নতুন কী তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা, তা ইডির থেকে জানতে চেয়েছিলেন বিচারক। তখন ইডির তরফে জানানো হয়েছিল, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগগুলি তারা খতিয়ে দেখছে। ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকারও বেশি লেনদেন পাওয়া গিয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছিল ইডি। উঠে আসে গ্রামীণ ব্যাঙ্কে এবং স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে লেনদেনের প্রসঙ্গও।

এর পাশাপাশি চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা নেওয়া এবং তা ফেরত দেওয়া সংক্রান্ত অভিযোগের কথাও জানায় ইডি। চার্জশিটেও এই অভিযোগগুলির কথা উল্লেখ করেন তদন্তকারীরা। ইডির বক্তব্য, নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় যে টাকা জীবনকৃষ্ণের কাছে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, সেই টাকা তাঁর উপরের স্তরে কার কাছে গিয়েছে— তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement