Rice Mill

চাষিদের বিক্ষোভের পরে বর্ধমানের গলসিতে প্রতিনিধি দল, পরিস্থিতি খতিয়ে পদক্ষেপের আশ্বাস

জেলাশাসকের নির্দেশে প্রতিনিধি দল এলাকা পরিদর্শনে যান। চারদিক খতিয়ে দেখেন তাঁরা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন জেলা পরিষদের বেশ কয়েক জন কর্মাধ্যক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গলসি শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২১ ১৮:৪৩
Share:

এলাকা পরিদর্শনে প্রতিনিধি দল নিজস্ব চিত্র।

চালকলের ছাই এবং পচা জল থেকে প্রায় দু’হাজার বিঘা জমির ধান চাষের ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানা এলাকার কৃষকেরা। চালকলের সামনে গিয়ে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছিল আনন্দবাজার ডিজিটালে। তার পরেই বৃহস্পতিবার দুপুরে চালকলের পার্শ্ববর্তী ক্ষতিগ্রস্থ কৃষিজমি ও সেচ খাল পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসনের এক প্রতিনিধি দল।

Advertisement

জেলাশাসকের নির্দেশে প্রতিনিধি দল এলাকা পরিদর্শনে যান। সরেজমিনে চার দিক খতিয়ে দেখেন তাঁরা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন জেলা পরিষদের বেশ কয়েক জন কর্মাধ্যক্ষ-সহ এলাকার বিধায়ক ও ব্লক প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা। ঘুরে দেখেন মাঠের ছোট, বড় সব সেচ খাল ও রাইসমিলের নিকাশি ব্যবস্থা। এই প্রসঙ্গে গলসির বিধায়ক নেপাল ঘড়ুই বলেন, ‘‘চাষিদের অভিযোগ একেবারে সঠিক। রাইসমিলের কালো নোংরা জল জমিতে ঢুকে জমির ক্ষতি করছে।’’ তিনি চাষিদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। যাতে নিত্য যন্ত্রণা থেকে চাষিরা মুক্তি পান, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

জেলা পরিষদের কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ শেখ ইসমাইল বলেন, ‘‘দূষিত জল জমিতে পড়ে নষ্ট হচ্ছে জমির উর্বরতা শক্তি। তা ছাড়া এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে। তবে রাইসমিল বন্ধ করে নয়, আলোচনা করে সমাধান করতে হবে। কারণ শিল্পেরও প্রয়োজন আছে।’’ তাই চাষি ও মিল মালিকদের নিয়ে আলোচনা করে পরিকল্পনামাফিক সমস্যা সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন