বিধানসভায় তেনাদের অস্বস্তি জানতে তদন্ত করতে চেয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন। প্রতীকি ছবি।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ভূতের উপদ্রব নিয়ে তদন্ত করতে চেয়ে এ বার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল ‘ভূত সন্ধানীদের’ সংগঠন। রবিবার ‘ডিটেক্টিভ অফ সুপারন্যাচারাল’ নামে একটি সংগঠনের তরফে স্পিকারকে ইমেল পাঠানো হয়েছে। যেখানে তারা বিধানসভার অন্দরে থাকা অশরীরি আত্মার খোঁজ করার জন্য অনুমতি চেয়েছেন। ৩১ অক্টোবর আনন্দবাজার ডট কমে প্রথম বার 'বিধানসভায় তেনাদের উপদ্রব'! খবর প্রকাশিত হয়। সেই খবর পড়েই সংগঠনটি স্পিকারকে ইমেলপাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
সম্প্রতি বিধানসভায় রাতের নিরাপত্তারক্ষীরা এক অশরীরির উপস্থিতি নিয়ে অস্বস্তি অনুভব করেছেন বলে খবর। পশ্চিম বিধানসভা ভবনের ভিতরে রাতে কেউ থাকেন না। বাইরে প্রহরায় থাকেন নিরাপত্তারক্ষীরা। কখনও-সখনও বিশেষ প্রয়োজনে রাতে তাঁরা অন্দরে প্রবেশ করেন। সেখানেই ঘটেছে বিপত্তি! নিরাপত্তারক্ষীদের একাংশের দাবি, চলতি মাসে রাতের দিকে পাহারাদারদের কেউ কেউ বিধানসভা ভবনের ভিতর ‘অশরীরী উপস্থিতি’ টের পেয়েছেন। দোতলায় বিজয় বন্দ্যোপাধ্যায় কক্ষের সামনে নাকি বিশেষ ভাবে এই উপস্থিতি অনুভব করা যাচ্ছে! এই খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকেই বিধানসভায় ‘তেনাদের’ নিয়ে অস্বস্তির বিষয়ে জেনেছে ‘ডিটেক্টিভ অফ সুপারন্যাচারাল’। সেখান থেকেই সংগঠনের অভ্যন্তরে আলোচনা করে বিধানসভার অন্দরে রাতের অন্ধকারে ভূতের সন্ধান পেতে তদন্ত করতে চান তারা। সংগঠনের তরফে দেবরাজ সান্যাল স্পিকারকে ইমেল করে ভূতের সন্ধান পেতে তদন্তের অনুমতি চেয়েছেন।
তাদের এই আবেদন প্রসঙ্গে দেবরাজ বলেন, “যেখানেই অলৌকক কিছুর কথা আমরা জানতে পারি, সেখানেই আমদের দল তদন্ত করতে যায়। যেমন সম্প্রতি আমরা আসানসোলের কাছে বেনাগ্রাম নামে একটি ভৌতিক গ্রামে গিয়েছিলাম।” তিনি আরও বলেন, “আনন্দবাজার ডট কম-এর খবর থেকেই আমরা জানতে পারি, বিধানসভায় অতিপ্রাকৃতিক কিছু অনুভব করা গিয়েছে। তাই আমরা তদন্ত করতে চেয়ে স্পিকারের কাছে আবেদন করেছি।” তবে আবেদন প্রসঙ্গে স্পিকার বিমান বলেন, “এ সব বাজে কথা। কোথাও কোনও ভূত নেই। তাই তদন্তের প্রশ্নও আসে না। মানসিক ভাবে দুর্বল যারা তারাই এসব কথা বলেন।”