এর আগে চেয়েছিলেন, বড় নাতি সুব্রত ঠাকুর (ছোট ছেলে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের ছেলে) তৃণমূলের টিকিটে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হোন। এ জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদনও করেছেন মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি বীণাপানি দেবী তথা ‘বড়মা’। একই ভাবে বড় ছেলে কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরকেও যাতে লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের প্রার্থী করেন, সোমবার সেই ইচ্ছাও প্রকাশ করলেন বড়মা।
এ দিন গাইঘাটার ঠাকুরনগরে ঠাকুরবাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বড় ছেলে কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর বলেন, “তৃণমূল থেকে যদি আমাকে টিকিট দেওয়া হয় তাহলে আমি লোকসভা নির্বাচনে লড়ব।” এমন সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা হিসাবে কপিলবাবু বলেন, “মতুয়া ভক্তরা এবং মা চাইছেন আমি সাংসদ হয়ে মতুয়াদের এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য কাজ করি।’’
প্রথমে বড় নাতি, এখন আবার বড় ছেলের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে টিকিট চাওয়ার প্রশ্নে বড়মা বীণাপানি দেবী বলেন, “আগে আমার ছেলে। তার পর নাতি।” জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব সূত্রে খবর, সোমবার বড়মা তাঁর বড় ছেলের হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রার্থীপদের জন্য লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। তবে মতুয়া মহাসঙ্ঘের দু’জনের প্রার্থী হওয়ার আবেদন নিয়ে জেলা তৃণমূলের একাংশও দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে। একটি অংশ চাইছে কপিলকৃষ্ণকেই প্রার্থী করা হোক। আর এক অংশের মত, মন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের ছেলেকেই প্রার্থী করুন মুখ্যমন্ত্রী। এখন কার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে সেটাই দেখার।