ট্রেন ঢুকতেই ‘মালা, মিষ্টি, মোর...’

 একই জায়গায় ঠাসাঠাসি করে দাঁড়িয়ে বিজেপির উত্তরবঙ্গের সহকারী আহ্বায়ক দীপেন প্রামাণিক, তৃণমূল নেতা আলঙ্গির আলি কিংবা কংগ্রেস নেতা অম্লান মুন্সি। সকলের সঙ্গেই দলের কর্মী-সমর্থক। হাতে দলের পতাকা এবং ফুল-মালা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৪৭
Share:

সাজ: পদাতিকে মালা পড়াচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র

একই জায়গায় ঠাসাঠাসি করে দাঁড়িয়ে বিজেপির উত্তরবঙ্গের সহকারী আহ্বায়ক দীপেন প্রামাণিক, তৃণমূল নেতা আলঙ্গির আলি কিংবা কংগ্রেস নেতা অম্লান মুন্সি। সকলের সঙ্গেই দলের কর্মী-সমর্থক। হাতে দলের পতাকা এবং ফুল-মালা।

Advertisement

এমন ভিড় দেখে প্রথমে অবাক জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে উপস্থিত সাধারণ যাত্রীরা থমকে গিয়েছিলেন। কৌতূহল মিটে গেল পদাতিক এক্সপ্রেস ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে। তিন রাজনৈতিক দলের সকলে ঝাঁপিয়ে পড়লেন ট্রেন চালক-গার্ড ও যাত্রীদের স্বাগত জানাতে।

বস্তুত, পদাতিকের এই স্টেশনে দাঁড়ানো নিয়ে কৃতিত্ব দাবি করে বুধবার থেকেই লড়াইটা শুরু হয়েছিল। শুক্রবার প্রথম ট্রেনকে স্বাগত জানানোয় এসে তা চরমে পৌঁছয়।

Advertisement

বেলা ১০টা ১০ মিনিটে ট্রেনটির জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে পৌছানোর কথা ছিল। তার অনেক আগে থেকেই সেখানে ফুল, মিস্টি ও চকোলেট নিয়ে স্টেশনে হাজির নেতা-কর্মীরা৷ শেষে সকলকে অপেক্ষা করিয়ে ১১টা ২২ মিনিটে স্টেশনে ঢোকে ট্রেনটি৷ আর ঢুকতেই তাতে ফুল ছিটকে আসতে শুরু করে নেতা-কর্মীদের হাত থেকে। ট্রেন থামার পরে চলে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা। পাশাপাশি ট্রেন যাত্রীদের মধ্যেও মিষ্টি-চকোলেট বিলি করা হয়৷

এ সবে অবশ্য খুশি চালক-গার্ড এবং যাত্রীরা। এখানেই নামলেন উদয় বসু, আর্থিক দত্তরা। বললেন, স্টপেজ হলে খুব ভাল হবে।

এই ভিড়ে ছিল না সিপিএম। পরে দলের জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য বলেন, ‘‘পদাতিক এক্সপ্রেসকে আমরাও স্বাগত জানাই৷ তবে তা নিয়ে ক্ষুদ্র রাজনীতি করতে চাই না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন