ব্যারাকপুরের কারখানার আগুনে খোঁজ নেই ৫ কর্মীর

কারখানার একতলা দাউ দাউ করে জ্বলছে। সেই আগুনের মোকাবিলায় নিউ ব্যারাকপুরের যুগবেড়িয়ায় অবস্থিত চেয়ার কারখানার শ্রমিকদের হাতে অস্ত্র বলতে খানকয়েক অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৫৭
Share:

কারখানায় দাহ্যবস্তু এবং রাসায়নিক মজুত থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। নিজস্ব চিত্র।

কারখানার একতলা দাউ দাউ করে জ্বলছে। সেই আগুনের মোকাবিলায় নিউ ব্যারাকপুরের যুগবেড়িয়ায় অবস্থিত চেয়ার কারখানার শ্রমিকদের হাতে অস্ত্র বলতে খানকয়েক অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার। তা দিয়ে ১০ মিনিটও লড়া যায়নি। যার ফলে সোমবারের অগ্নিকাণ্ডে কারখানার দু’টি তলা ভস্মীভূত হল। রাত পর্যন্ত পাঁচ কর্মীর খোঁজ মেলেনি বলে খবর। সরকারি মতে সংখ্যাটি যদিও চার।

Advertisement

কারখানার কর্মী গণেশ বসু, সুব্রত ধরেরা জানান, কারখানার দু’টি তলায় ৬৫ জন কর্মী কাজ করছিলেন। বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ একতলার এক নম্বর ইউনিটে প্লাইউড ও ফোমে আগুন লাগলে কর্মীরা চিৎকার শুরু করেন। দোতলা থেকে নীচে নামার দু’টি সিঁড়ি আগুনের গ্রাসে চলে এলে সেখানে আটকে পড়েন শ্রমিকদের একাংশ। কারখানার নিরাপত্তারক্ষী সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, হাজিরা খাতা অনুযায়ী, পল্টু দুয়ারি, সুবোধ রায়, নিত্যানন্দ রায়, মুন্নাপ্রসাদ রায় এবং সঞ্জীব পড়িয়ার খোঁজ মেলেনি। পাঁচ জনের মধ্যে সঞ্জীব ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং পল্টু ফ্লোর ইনচার্জ।

বস্তুত, নিউ ব্যারাকপুরের কারখানার আগুন এত বড় আকার নেয় যে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলের ২৫টি ইঞ্জিন নামানো হয়। বিকেল ৫টা নাগাদ একতলার আগুন আয়ত্তে এলেও দোতলার আগুন বাগে আনা যায়নি। উঁচু মই দিয়ে জানলা ভেঙে জল ছড়ানোর পরে পরিস্থিতি কিছুটা আয়ত্তে এলেও ফের দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। পার্থপ্রতিম রায় নামে এক দমকল কর্মী অসুস্থ হলে তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত দমকল কর্মীরা দোতলার একটি অংশে ঢুকতেই পারেননি। ওই অংশেই কর্মীরা আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা পুলিশ ও দমকল বিভাগের।

Advertisement

আরও পড়ুন: ওঁরা আটকে অগ্নিব্যূহে, বাইরে আর্তি সঙ্গীদের

কর্মীদের অভিযোগ, ছাদের গেট বন্ধ থাকায় আটকে পড়া কর্মীরা বেরোতে পারেননি। রাত পর্যন্ত মালিক অনুজ সন্তালিয়ার খোঁজ মেলেনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানান, কারখানাটিতে আগুনের সঙ্গে লড়ার মতো কোনও ব্যবস্থাই ছিল না। বছর চারেক আগে এই কারখানারই অন্য বিল্ডিংয়ে আগুন লেগেছিল। তার পরেও কারখানার এমন গাফিলতিতে অবাক দমকলমন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন