পাহাড়ের জেলেও খাবার বাড়ন্ত

কারা দফতর সূত্রের খবর, দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াং, তিন সংশোধনাগার মিলিয়ে বর্তমানে দুশো জনের বেশি বন্দি রয়েছেন। মাসের গোড়ায় সংশোধনাগারের বন্দিদের জন্য একযোগে খাবার কেনা হয়। সেই মতো জুনের গোড়ায় খাবার কেনা হয়। এখন মোর্চার ডাকা অনির্দিষ্টকালের বন্‌ধের ফলে পাহাড়ে খাদ্যশস্য এবং আনাজ সরবরাহ বন্ধ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৭ ০৪:৪০
Share:

প্রতীকী ছবি।

টানা ১১ দিন বন্‌ধের জেরে মজুত খাবার ফুরোতে বসেছে পাহাড়ের তিন সংশোধনাগারেও।

Advertisement

কারা দফতর সূত্রের খবর, দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াং, তিন সংশোধনাগার মিলিয়ে বর্তমানে দুশো জনের বেশি বন্দি রয়েছেন। মাসের গোড়ায় সংশোধনাগারের বন্দিদের জন্য একযোগে খাবার কেনা হয়। সেই মতো জুনের গোড়ায় খাবার কেনা হয়। এখন মোর্চার ডাকা অনির্দিষ্টকালের বন্‌ধের ফলে পাহাড়ে খাদ্যশস্য এবং আনাজ সরবরাহ বন্ধ। তাই মাসের শেষে যখন সংশোধনাগারের ভাঁড়ারেও টান পড়েছে, তখন বন্দিদের পাতে পড়ছে খিচুড়ি, ভাত, রুটি আর ডিম, আলু, সয়াবিন। কারা দফতরের একাধিক কর্মী জানান, দু’তিন দিনের মধ্যে আলু-পেঁয়াজও ফুরিয়ে যাবে।

উদ্বিগ্ন কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। তিনি ডিজি, আইজি, প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারির সঙ্গে কথা বলেছেন। ফোন করেছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকেও। পুলিশি পাহারায় সমতল থেকে খাবার তোলা যায় কিনা, তা নিয়ে কথা হয়েছে দু’জনের মধ্যে। গৌতম বলেন, ‘‘কারামন্ত্রীকে বলেছি, দুশ্চিন্তার কিছু নেই। খাবারে যাতে টান না পড়ে, তা প্রশাসনই নিশ্চিত করবে।’’ উদ্বিগ্ন মানবাধিকার কর্মীরাও। কিছু মানবাধিকার কর্মী জানান, তাঁরা মোর্চা নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সমাধানসূত্র মেলেনি। মাস ফুরনোর আগে বন্‌ধ শিথিল না হলে সঙ্কটের আশঙ্কা রয়েছে, মানলেন জেলের এক অফিসারও।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন