এ বার কুপন বন দফতরের

পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, মনে হচ্ছে সরকারি আধিকারিকদের একাংশ চাইছেন টাইগার হিলে মানুষ আসা বন্ধ হয়ে যাক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:০৬
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

আবার কুপন-নির্দেশ টাইগার হিলে। দার্জিলিং জেলা পুলিশের গাড়ির কুপনের পর এ বার ‘এন্ট্রি কুপন’-শুরু করল রাজ্য বন দফতর। সোমবার সকাল থেকে টাইগার হিলে যাওয়া প্রতিটি গাড়িপিছু কুপন দিয়ে ৫০ টাকা নেওয়া শুরু করেছে বন দফতরের দার্জিলিং বন্যপ্রাণ শাখা। বন দফতরের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে পর্যটন ও পরিবহণ সংগঠনগুলির মধ্যে। সেরকমই বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা জানান, টাইগার হিল এলাকাটি সিঞ্চল অভয়ারণ্যের মধ্যে পড়ে। এর আগে কোনওদিন বন দফতর এখানে ‘এন্ট্রি ফি’ নেয়নি। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, মনে হচ্ছে সরকারি আধিকারিকদের একাংশ চাইছেন টাইগার হিলে মানুষ আসা বন্ধ হয়ে যাক।

Advertisement

দার্জিলিঙের ট্রাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ লামা বলেন, ‘‘পর্যটন মরসুমের আগে এটা কী হচ্ছে! পুলিশ নিজেদের ইচ্ছামত গাড়ির সংখ্যা ঠিক করে দিচ্ছে। এ বার বন দফতর টাকা তোলা শুরু করল। এর পরে অন্য দফতরও টাকা চাইতে পারে।’’ একইভাবে বিভিন্ন সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘প্রশাসন ‘এন্টি ফি’ নিতেই পারে। তবে তা আগাম ঘোষণা, আলোচনা করে করবে। এখানে কিছুই হয়নি।’’

বন দফতর সূত্রের খবর, গরুমারা থেকে জলদাপাড়া, চিলাপাতার মত অভয়ারণ্য বা জাতীয় উদ্যানের নির্ধারিত এলাকায় ঢুকতে গেলে ‘এন্ট্রি ফি’ লাগে। ওই টাকার বড় অংশ বন পাহারা এবং ফরেস্ট প্রোটেকশন কমিটির উন্নয়নে খরচ হয়। ব্যবসায়ীদের দাবি, ওই এলাকায় বন্যপ্রাণ একেবারে নেই। স্থানীয়রাও সিঞ্চল মন্দিরে পুজো দিতে যান। যদিও দার্জিলিং বন্যপ্রাণ বিভাগের বনাধিকারিক জিজু জেসপার জে জানান, বন থেকে রাজস্ব বাড়ানো দরকার। এই প্রবেশমূল্য থেকে আয়ের ৪০ শতাংশই স্থানীয় বন বাসিন্দাদের উন্নয়ন খাতে দেওয়া হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন