Jalpaiguri Leopard

চিতাবাঘের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ সকলে! অবশেষে খাঁচায় ধরা পড়ল জলপাইগুড়ির চা-বাগানের ‘ত্রাস’

গত কয়েক দিন ধরে জলপাইগুড়ির গেন্দ্রাপাড়া চা-বাগান এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল চিতাবাঘটি। প্রায় রোজই বাড়ির হাঁস, মুরগি, ছাগল উধাও হয়ে যাচ্ছিল বলে দাবি গ্রামবাসীদের। অ

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৫ ১৩:৩৮
Share:

খাঁচায় ধরা পড়ল চিতাবাঘ। —নিজস্ব চিত্র।

টোপ দিয়ে অন্ধকারে পেতে রাখা হয়েছিল খাঁচাটা। বনকর্মীরাও সজাগ ছিলেন। আচমকাই সেটি নড়ে ওঠে। টর্চের আলো ফেলতেই দেখা যায়, বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে রয়েছে চিতাবাঘটি। হাফ ছেড়ে বাঁচলেন বনকর্মীরা!

Advertisement

গত কয়েক দিন ধরে জলপাইগুড়ির গেন্দ্রাপাড়া চা-বাগান এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল চিতাবাঘটি। প্রায় রোজই বাড়ির হাঁস, মুরগি, ছাগল উধাও হয়ে যাচ্ছিল বলে দাবি গ্রামবাসীদের। অবশেষে শনিবার রাতে সেই আতঙ্কের অবসান ঘটল।

বন দফতর সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ি বনবিভাগের কর্মীরা চা-বাগানের সীমানায় খাঁচা পেতে রেখেছিলেন। রাতের অন্ধকারে খাবার খুঁজতে এসে তাতেই ধরা দেয় চিতাবাঘটি।

Advertisement

জলপাইগুড়ির মুখ্য বনপাল বিকাশ ভি বলেন, ‘‘চিতাবাঘটি প্রায় ছ’বছর বয়সি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ। সেটির প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। আপাতত সে সুস্থ। পর্যবেক্ষণের পর চিতাবাঘটিকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। বন দফতর পুরো ঘটনায় অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করেছে।” তাঁর সংযোজন, ‘‘মানুষ ও বন্যপ্রাণীর মধ্যে সংঘর্ষ এড়াতে আমরা বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছি। স্থানীয়দের অনুরোধ করা হচ্ছে, বনের কাছাকাছি এলাকায় রাতে একা চলাফেরা না করতে।’’

স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম বর্মন বলেন, ‘‘গত তিন সপ্তাহ ধরে আমরা ভয়ে ছিলাম। রাতে বাচ্চাদের নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখতাম। বন দফতর না এলে আমরা নিশ্চয়ই আরও বিপদে পড়তাম।” বনকর্মীরা জানিয়েছেন, ওই এলাকা জঙ্গলঘেঁষা হওয়ায় ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement