বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত জাতীয় গান বন্দেমাতরমের সার্ধশতবর্ষ উদ্যাপনের জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
জাতীয় গানের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানাতে বিশেষ উদ্যাপন কমিটি গঠন করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয়। অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, জাতীয় গান এবং জাতীয় সঙ্গীত— দু’টিই বাংলার সৃষ্টি। একটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের, অন্যটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। এ বছর জাতীয় গান ‘বন্দে মাতরম’-এর সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে রাজ্য সরকার উদ্যাপন করবে। তিনি বলেন, “বাংলার মনীষীরা জাতিকে যা দিয়েছেন, এ বার তাঁদের প্রাপ্য সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার পালা।”
রাজ্য সরকার গঠিত এই কমিটির চেয়ারপার্সন করা হয়েছে শিক্ষাবিদ লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে। ভাইস-চেয়ারম্যান হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়কে মনোনীত করা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে। কমিটিতে রয়েছেন সাহিত্যিক আবুল বাশার, চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক, কবি সুবোধ সরকার, অভিনেতা দেব, শিল্পপতি সত্যম রায়চৌধুরী, অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক বিশ্ব মজুমদার এবং কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কমিটি প্রথম বৈঠক করে শীঘ্রই উদ্যাপনের রূপরেখা এবং কর্মসূচি নির্ধারণ করবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। জাতীয় গান ‘বন্দে মাতরম’ ১৮৭৫ সালে রচিত হয়েছিল। স্বাধীনতা আন্দোলনের পটভূমিতে এই গানই এক সময়ে জাতীয় চেতনার প্রতীক হয়ে উঠেছিল। এই উদ্যাপন সেই ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরবে বলে আশা রাজ্য সরকারের।
অন্য দিকে, মঙ্গলবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)। এই প্রক্রিয়ার কারণেই মন্ত্রিসভার সোমবারের বৈঠকে জেলার একাধিক মন্ত্রী অনুপস্থিত ছিলেন। নবান্ন সূত্রে জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের অনুপস্থিতিকে স্বাভাবিক বলেই মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, যাঁরা এসআইআরের কাজ দেখছেন, তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন। দলের তরফে ওই মন্ত্রীদের নিজ নিজ এলাকায় নজর রাখতে বলা হয়েছিল। ‘কোরাম’ পূরণ করে বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও মুখ্যমন্ত্রী বাকি মন্ত্রীদেরও নির্দেশ দেন, রাজ্যের প্রতিটি এলাকায় ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়ায় যথাযথ তদারকি করতে হবে।