বিনীত গোয়েল। —ফাইল চিত্র।
আরজি করের নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে বলার জন্য আদালতে ক্ষমা চাইলেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার (সিপি) বিনীত গোয়েল। বৃহস্পতিবার আদালতকে চিঠি দিয়ে তিনি ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বিনীত যেহেতু চিঠি লিখে ক্ষমা চেয়েছেন, তাই মামলাটি এখানেই বন্ধ হওয়া উচিত। বিষয়টি নিয়ে আর জটিলতা বৃদ্ধি করে লাভ নেই বলে মত উচ্চ আদালতের।
তবে একই সঙ্গে বিচারপতি মান্থা পরামর্শ দেওয়ার সুরে বলেন, “ওয়েস্ট বেঙ্গল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমিকে বলব পুলিশকে নিয়ে একটি সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করতে। বিচারাধীন অথবা স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে বা সংবাদমাধ্যমে কী কথা বলা উচিত এবং কী উচিত নয়, তা জানা প্রয়োজন।”
আরজি করের নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনার অভিযোগ ওঠে কলকাতার তদানীন্তন পুলিশ কমিশনার বিনীতের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী বিজয়কুমার সিংহল। তাঁর বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনা ফৌজদারি অপরাধ। শাস্তি পাওয়া উচিত বিনীতের। আদালতের পরামর্শে গত শুনানিতে বিনীতের আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় জানান, তাঁর মক্কেল লিখিত ভাবে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত। বৃহস্পতিবার শুনানিতে বিনীতের আইনজীবী জানান, আরজি করের ঘটনা খুবই মর্মান্তিক এবং বেদনাদায়ক। গত ১০ অগস্ট নির্যাতিতার নাম বিনীতের মুখ ফস্কে বেরিয়ে যায়। অনিচ্ছাকৃত ভাবেই তা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রথমে মামলাকারী বিনীতের ক্ষমা চাওয়ায় আপত্তি জানান। প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের আইনজীবী জানান, সন্তুষ্ট না-হলে আমরা মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলব। মামলাকারী একজন আইনজীবী। এই মামলা করার নেপথ্যে তাঁর স্বার্থ জড়িয়ে থাকতে পারে। নির্যাতিতার বাবা আদালতে মামলা করেছেন। তার পরেও কেন এই বিষয়ে আলাদা মামলা, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিনীতের আইনজীবী। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মান্থা জানান, এখানেই মামলা শেষ করা হোক। আরজি করের ঘটনা নিয়ে আরও অনেক বিষয় রয়েছে। এখনও মামলা চলছে। তার পরেই আদালত মামলাটির নিষ্পত্তি করে দেয়।