Calcutta High Court

কলেজে ভর্তির পোর্টালে এখনও ওবিসি-এ, ওবিসি-বি কেন? প্রশ্ন তুলে মামলা কলকাতা হাই কোর্টে

কলেজে ভর্তির অনলাইন পোর্টালে এখনও কেন ওবিসি-এ এবং ওবিসি-বি আলাদা ভাবে উল্লেখ রয়েছে? এই নিয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগ মামলা করা হয়েছে হাই কোর্টে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৫ ১৮:১৪
Share:

এখনও কেন কলেজের ভর্তির জন্য ওবিসি-এ এবং ওবিসি-বি উল্লেখ রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা হাই কোর্টে। —ফাইল চিত্র।

কলেজে ভর্তির অনলাইন পোর্টালে এখনও কেন ওবিসি-এ এবং ওবিসি-বি নিয়ে আলাদা ভাবে ভর্তির কথা বলা হয়েছে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা করা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। মূল মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, আদালতের নির্দেশের পরেও কলেজে ওবিসি-এ এবং ওবিসি-বি নিয়ে আলাদা ভাবে ভর্তির কথা বলা হয়েছে। এর ফলে আদালত অবমাননা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

Advertisement

বিচারপতি তাঁকে মামলা দায়েরের অনুমতি দেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং উচ্চ শিক্ষা দফতরকেও মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। শীঘ্রই ওই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। বস্তুত, অন্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি) সংক্রান্ত রাজ্যের নতুন বিজ্ঞপ্তির উপর ইতিমধ্যে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। মামলাকারী পক্ষের বক্তব্য, আদালতের নির্দেশের ফলে ওবিসি-এ এবং ওবিসি-বি তালিকার বৈধতা নেই। ২০১০ সালের আগে যে ৬৬টি সম্প্রদায়কে ওবিসি তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল, সেটিই বৈধ। এই অবস্থায় কেন এখনও কলেজের ভর্তির জন্য ওবিসি-এ এবং ওবিসি-বি পৃথক ভাবে উল্লেখ করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন মূল মামলাকারীদের।

২০১০ সালের আগে মোট ৬৬টি জনগোষ্ঠীকে ওবিসি বলে ঘোষণা করা হয়। অমুসলিম জনগোষ্ঠী ছিল ৫৪টি এবং মুসলিম ১২টি। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ২০১০ সালের পর থেকে যাদের ওবিসি-তে নথিভুক্ত করা হয়েছে, তাদের শংসাপত্র বাতিল হয়েছে। তাই ২০১০ সালের আগে পর্যন্ত যে ৬৬টি জনগোষ্ঠী অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির অংশ ছিল তাদের শংসাপত্র গ্রাহ্য হবে চাকরির নিয়োগ কিংবা কলেজে ভর্তিতে।

Advertisement

গত মঙ্গলবারের শুনানিতে রাজ্যের বক্তব্য ছিল, এই মামলার জন্য কোনও কোনও ক্ষেত্রে কাজের সমস্যা হচ্ছে। তার আগে সোমবার বিচারপতি চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে রাজ্য তাদের বক্তব্য জানায়। তাতে বলা হয়, ওবিসি মামলার জন্য কলেজে ভর্তি থেকে শুরু করে নিয়োগ প্রক্রিয়া, সব আটকে রয়েছে। কিন্তু আদালত জানায়, এমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement