ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সঙ্ঘাত তৃণমূল ভবনে।
ভোটের ফল নিয়ে তৃণমূলের পর্যালোচনা বৈঠকের পরের দিনই কার্যত সামনে চলে এল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠী কোন্দল। রবিবার তৃণমূল ভবনেই উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ল দুই গোষ্ঠী। টিএমসিপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বনাম সহ-সভাপতি মণিশঙ্কর মণ্ডল ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি জয়া দত্তের মিলিত গোষ্ঠীর তপ্ত বাদানুবাদে উত্তেজনা ছড়ায় তৃণমূল ভবনে। যদিও টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুরের দাবি ‘‘টিএমসিপি ঐক্যবদ্ধই আছে।’’
ঠিক কী হয়েছিল এ দিন তৃণমূল ভবনে? রবিবার ছাত্র সংগঠনের বৈঠক ডেকেছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। সেখানে উপস্থিত সেখানে জেলা সভাপিত এবং এবং অন্যান্য নেতা-নেত্রীরা ছাড়াও প্রচুর সদস্যও হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল ভবনে। বৈঠকে উপস্থিত একটি অংশ জানিয়েছে, বৈঠক শুরুর মুখে তৃণাঙ্কুর ঘোষণা করেন, শুধু মাত্র সংগঠনের জেলা সভাপতিদের সঙ্গেই বৈঠক করতে চান। কিন্তু জয়া দত্ত এবং মণিশঙ্কর দাবি করেন, সবাইকে নিয়েই বৈঠক করতে হবে। এই নিয়েই দু’পক্ষের বাদানুবাদ এবং উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
তবে সংগঠনের নেতৃত্ব এই ঘটনাকে সঙ্ঘাত হিসেবে দেখতে রাজি নন। তৃণাঙ্কুর বলেন, ‘‘আমরা একটা পর্যালোচনা বৈঠক ডেকেছিলাম। সেই বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়েই আলোচনা হচ্ছিল। এই ধরনের বৈঠকে নিজেদের মধ্যে নানা রকম কথাবার্তা হতেই পারে। কিন্তু সেটাকে গোলমাল বা অশান্তি বলে ধরে নেওয়ার কিছু নেই। কোনও গোলমাল হয়নি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ঐক্যবদ্ধই আছে।’’
আরও পডু়ন: ফের রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানা, জেরার জন্য হাজিরার নোটিস
আরও পডু়ন: তৃণমূল উঠে যাওয়ার মুখে, মমতার কথা আর কেউ বিশ্বাস করেন না, বললেন মুকুল রায়
রাজনৈতিক মহলে তৃণাঙ্কুর তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। অন্য দিকে জয়া দত্ত রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। আবার মণিশঙ্করও পার্থর অনুগামী এবং ঘনিষ্ঠ। এই দুই গোষ্ঠীর সঙ্ঘাত এমন এক দিনেই সামনে চলে এল, যখন ঠিক আগের দিনই তৃণমূলের পর্যালোচনা বৈঠকে ডানা ছাঁটা হয়েছে অভিষেকের।