Hailstorm

পুরুলিয়ায় বজ্রপাতে মৃত এক, জেলায় জেলায় শিলাবৃষ্টি, মাথায় হাত আলুচাষিদের

ফাল্গুনে শিলাবৃষ্টিতে জল জমেছে আলু চাষের জমিতে। ক্ষতির আশঙ্কায় মাথায় হাত পূর্ব বর্ধমানের আলুচাষিদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:০৩
Share:

বাঁকুড়ায় শিলাবৃষ্টির পরে। — নিজস্ব চিত্র।

নিম্নচাপের জেরে বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। কয়েক জেলায় হয়েছে বজ্রপাতও। পুরুলিয়ায় ইটভাটায় কাজ করার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলা শ্রমিকের। পুলিশ জানিয়েছে মৃতার নাম জবা মুদি।

Advertisement

আবহাওয়া দফতর আগেই পুর্বাভাস দিয়েছিল। সেই মতো বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আকাশ কালো করে বৃষ্টি শুরু হয় । সঙ্গে দোসর ছিল প্রবল ঝোড়ো হাওয়া। এই ঝোড়ো হাওয়ায় একটি তাল গাছ উল্টে বাঁকুড়া-২ ব্লকের নড়রা এলাকায় মৃত্যু হয় একটি মোষের। আহত হয় একটি মোষ। জেলার বিভিন্ন রাস্তায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় সাময়িক ভাবে যান চলাচল ব্যহত হয়। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের ভক্তাবাঁধ ও পার্শ্ববর্তী জামকুড়ি এলাকায় শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। শিলার আকার ছোট হলেও সাদা বরফের টুকরোয় ছেয়ে যায় গোটা এলাকায়।

অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার সকালে পুরুলিয়ায় ইটভাটায় কাজ করার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় জবার। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৬ জন। জবার বাড়ি পুরুলিয়ার বোরো থানার মুদিডি গ্রামে। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে। বজ্রপাতে আহত ৬ জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বান্দোয়ান ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের সকলেরই বাড়ি মানবাজার-২ ব্লকের আঁকড়ো গ্রামে।

Advertisement

ফাল্গুনে শিলাবৃষ্টিতে জল জমেছে আলুচাষের জমিতে। ক্ষতির আশঙ্কায় মাথায় হাত পূর্ব বর্ধমানের আলুচাষিদের। জামালপুর ব্লকের শিয়ালী, কোরা, মাঠশিয়ালী, অমরপুর, মুইদুপুর, উজিরপুর, রেশলাতপুর, আঁটপাড়া এলাকায় শিলাবৃষ্টির দাপট একটু বেশি ছিল। ফলে ওই এলাকার চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। শিয়ালী গ্রামের আলুচাষি অচিন্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মোটা টাকা খরচ করে এ বছর আলু চাষ করতে হয়েছে। কিছু দিন আগে কিছু জমির আলু বিক্রি করেছি। কিন্তু লাভজনক দাম পাইনি। চাষের খরচটুকুও ওঠেনি। আশা ছিল বাকি জমির আলু বিক্রি করার সময় একটু ভাল দাম পাব। শিলাবৃষ্টির কারণে তা-ও গেল।’’

যদিও জেলা কৃষি আধিকারিক নকুলচন্দ্র মাইতি মানতে চাননি যে, বৃষ্টি হয়েছে মানেই আলু চাষ শেষ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘‘আলু মাটির নীচের ফসল। এই বৃষ্টিতে যে জমিতে জল জমে থাকবে, সেই জমিতেই শুধু মাত্র ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। জামালপুরে কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা ব্লক কৃষি দফতরের দল শুক্রবার খতিয়ে দেখবে। তারা রিপোর্ট পাঠালে বাস্তব অবস্থা বোঝা যাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement