দন্ত চিকিৎসকে আস্থা কেন্দ্রের, ক্ষুব্ধ আইএমএ

প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকের অভাব। তাই ডেন্টাল সার্জনদের ব্রিজ কোর্সের মাধ্যমে এমবিবিএস চিকিৎসকে রূপান্তরিত করার প্রস্তাব কার্যকর করতে সক্রিয় হল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৫৫
Share:

প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকের অভাব। তাই ডেন্টাল সার্জনদের ব্রিজ কোর্সের মাধ্যমে এমবিবিএস চিকিৎসকে রূপান্তরিত করার প্রস্তাব কার্যকর করতে সক্রিয় হল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কেন্দ্রের সেই পদক্ষেপকে ডিসিআই (ডেন্টাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া) স্বাগত জানালেও, বিরোধিতা করেছে আইএমএ (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন)।

Advertisement

গত ১৮ এপ্রিল স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ডাক্তারি শিক্ষার কীভাবে প্রসার ঘটানো যায় তা নিয়ে ৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে ব্রিজ কোর্স করিয়ে মেডিসিনের চিকিৎসক হিসাবে দাঁতের ডাক্তারদের ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে আগামী সোমবার নীতি আয়োগের ২৭৫ নম্বর ঘরে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে।

ডেন্টাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার সভাপতি দিব্যেন্দু মজুমদার বলেন, ‘‘সারা দেশে নথিভুক্ত ডেন্টাল সার্জনের সংখ্যা ২ লক্ষ ৭৮ হাজার। তাঁদের জন্য নতুন রাস্তা খোলা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। কোর্স কারিকুলাম তৈরি হয়েছে। এখন নীতি আয়োগ যা করবে তা-ই চূড়ান্ত হবে।’’

Advertisement

নীতি আয়োগের কাজটা অবশ্য সহজ হবে না। শনিবার আইএমএ তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিটি পেশার নিজস্ব পরিচিতি এবং উদ্দেশ্য আছে। মাঝপথে ছ’মাসের ব্রিজ কোর্স করিয়ে মেডিসিনের চিকিৎসকে পরিণত করা রোগীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করার শামিল। আইএমএ সম্পাদক শান্তনু সেন বলেন, ‘‘মূল সমস্যার সমাধান না করে কেন্দ্রের সরকার দু’পক্ষের মধ্যে ঝগড়া বাঁধানোর চেষ্টা করছে। দেশে চিকিৎসকের কোনও অভাব নেই। ৪৯৪টি মেডিক্যাল কলেজ থেকে ৬৩,২৫০ জন এমবিবিএস স্নাতক পাশ করেন। কিন্তু সারা

দেশে ডাক্তারির স্নাতকোত্তর স্তরের আসন মাত্র ২৩,৭২৯টি। আসল কথা হল, কেন্দ্রের সরকারের বাকিদের কাজ দেওয়ার ক্ষমতা নেই। এর আগে আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের

নিয়ে একই রকম পরিকল্পনা করা হয়েছিল। চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানোর নামে ভোটের আগে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা হচ্ছে।’’

আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তপন গিরি বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনা কী রূপ নেবে তা এখনই বলা মুশকিল। তবে এ ধরনের ব্যবস্থায় যদি চিকিৎসকদের ঘাটতি মেটে তা হলে অসুবিধা কোথায়!’’ ডিসিআইয়ের নীতির সমালোচনা করে ইন্ডিয়া ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য শাখার সম্পাদক রাজু বিশ্বাস বলেন, ‘‘ডিসিআইয়ের ভুল নীতির জন্য প্রতি বছর প্রচুর ডেন্টাল সার্জন পাশ করেছেন। দেশে ৩১৩টি ডেন্টাল কলেজের মধ্যে ২৭২টি বেসরকারি। এত কলেজের অনুমোদন কীভাবে মিলল? এখন বোঝা যাচ্ছে, ২ লক্ষ ৭৮ হাজার ডেন্টাল সার্জনের রোজগারের কোনও ব্যবস্থা নেই। রোজগারের যে পথ ভাবা হয়েছে তা স্বাগত। তবে কেন এটা করতে হল পর্যালোচনা প্রয়োজন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন