একই পদে ফের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন

যে পদে চার বছর আগেই নিয়োগ হয়ে গিয়েছে, সেই পদে যোগ দিতে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) কী করে কোনও প্রার্থীকে ফের নিয়োগপত্র দেয়, সেই প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

শমীক ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:২০
Share:

যে পদে চার বছর আগেই নিয়োগ হয়ে গিয়েছে, সেই পদে যোগ দিতে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) কী করে কোনও প্রার্থীকে ফের নিয়োগপত্র দেয়, সেই প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘বায়ো-সায়েন্স’ বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ওই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি। এসএসসি কর্তৃপক্ষকে বিচারপতির নির্দেশ, ১০ অক্টোবর এ নিয়ে তাদের বক্তব্য আদালতে জানাতে হবে। বেহালার ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা প্রতাপরঞ্জন মিত্র গত ২৭ অগস্ট এসএসসি-র কাউন্সেলিংয়ে ডাক পান। তাঁর আইনজীবী বিশ্বরূপ বিশ্বাস জানান, এসএসসি-র পক্ষ থেকে তাঁর মক্কেলকে জানানো হয়, উত্তর দিনাজপুরের ওই স্কুলে তিনি পড়ানোর সুযোগ পাবেন। ২৯ অগস্ট হেমতাবাদ স্কুলে যান প্রতাপ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁকে লিখিত জানিয়ে দেন, চার বছর আগেই ওই পদে তাঁদের স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ হয়ে গিয়েছে। শিক্ষক নিযুক্ত হওয়ার ব্যাপারে জেলা স্কুল পরিদর্শকের সই থাকা একটি নথিও প্রতাপকে দেখান প্রধান শিক্ষক। ওই দিনই গোটা বিষয়টি এসএসসি কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদকে জানান ওই প্রার্থী। আইনজীবী জানান, এর পরেও এসএসসি কর্তৃপক্ষ তাঁর মক্কেলকে নির্দেশ দেন, ১৩ সেপ্টেম্বর সল্টলেকে মাধ্যমিক পর্ষদের কার্যালয় থেকে হেমতাবাদ স্কুলে যোগদানের নিয়োগপত্র আনতে। প্রতাপ বোর্ডের কার্যালয়ে গিয়ে নিয়োগপত্র নেন। তাঁকে বোর্ড কর্তৃপক্ষ এও জানান, ১৫ দিনের মধ্যে কাজে যোগ না দিলে নিয়োগপত্র বাতিল হয়ে যাবে।

এই পরিস্থিতিতে তাঁর কী করণীয়, তা জানতে ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রতাপ। ৩ অক্টোবর শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী তালে মাসুদ সিদ্দিকি আদালতে জানান, অন্য কোনও স্কুলে ওই প্রার্থীকে নিযুক্ত করা যায় কি না, তা জেনে নিয়ে তিনি ১০ অক্টোবর জানাবেন। বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসসি-র কৌঁসুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন, চার বছর আগেই যে পদে নিয়োগ হয়ে গিয়েছে, সেই পদে কী কারণে ওই প্রার্থীকে নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা ওই দিন জানাতে হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement