রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা। নিজস্ব চিত্র।
দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পুর এলাকার এক গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে রাতভর গনধর্ষণ ও নির্যাতন করার অভিযোগ উঠল। আশঙ্কাজনত অবস্থায় ঐ গৃহবধূ এখন রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর যৌনাঙ্গের ক্ষত দেখে চিকিৎসকদের অনুমান, দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর উপরে নৃশংস অত্যাচার চালানো হয়েছে।
নির্যাতিতার স্বামী এক জন গ্যারেজ ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার রাতে গ্যারেজ বন্ধ করার সময় তিনি জানতে পারেন তাঁর স্ত্রীকে পাওয়া যাচ্ছে না। আশপাশের এলাকায় বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, এর আগেও তাঁর স্ত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ছক করেছিল হরিরামপুরের নাইটি গ্রামের বাসিন্দা রঞ্জিত সিং ও তার সহযোগী ২ যুবক, নাম যোগেন সিং ও গোপাল সিং। সেই চিন্তা থেকে রাতেই হরিরামপুর থানাতে অভিযোগ জানান নির্যাতিতার স্বামী। পুলিশের তৎপরতায় রাতেই ওই গৃহবধূকে খোঁজার কাজ শুরু হয়।
শেষ পর্যন্ত বুধবার সকালে নাইটি গ্রাম লাগোয়া একটি জঙ্গল থেকে ওই গৃহবধুর সংজ্ঞাহীন বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার করে হরিরামপুর থানার পুলিশ। রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওই গৃহবধূকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধুর সারা শরীরে পাওয়া গিয়েছে আঘাতের চিহ্ন। তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। মানসিক ভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। তাঁর চিকিৎসার জন্য একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিযুক্ত করা হয়েছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন নির্যাতিতার স্বামী এবং মা।