ঘুমের সঙ্গে লুকোচুরি

প্রাণায়াম থেকে নাক্স ভোমিকা, সহজে ঘুম আনার উপায় আছে অনেক? খোঁজ দিচ্ছে আনন্দবাজার।অন্ধকারে চোখ মেলে শুয়ে। বিছানায় এ পাশ ও পাশ। ঘুম আর আসে না। এই অবস্থায় অনেকেই টুক করে একটা ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেন। কিন্তু সেই অভ্যাস থেকে বেরোন মুশকিল। অথচ বয়স যাঁদের কম, তাঁরাও এখন হামেশা অনিদ্রায় ভোগেন।

Advertisement

রুমি গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৫ ০১:০৫
Share:

অন্ধকারে চোখ মেলে শুয়ে। বিছানায় এ পাশ ও পাশ। ঘুম আর আসে না। এই অবস্থায় অনেকেই টুক করে একটা ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেন। কিন্তু সেই অভ্যাস থেকে বেরোন মুশকিল। অথচ বয়স যাঁদের কম, তাঁরাও এখন হামেশা অনিদ্রায় ভোগেন।

Advertisement

কী করে ঘুম আনা যায়?

Advertisement

রোজ ঘুমের ট্যাবলেট খাওয়া যাঁরা এড়াতে চান, তাঁদের জন্যও রয়েছে নানা উপায়। হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞ রথীন চক্রবর্তী বলছেন, মনকে সংযত করতে পারলে দুই মিনিটেই ঘুম চলে আসবে। চাইলে রাতে শোওয়ার আগে নাক্স ভোমিকা-৩০ এক সপ্তাহ খেতে পারেন। খুব বেশি দুশ্চিন্তায় ভুগলে সকাল-সন্ধেয় সাত দিন অ্যাকোনাইট-৩০ খেতে পারেন। ক্যালিফস সিক্স এক্সও উত্তেজনা প্রশমনে ভাল কাজ করে। জুঁই ফুলের গন্ধ যুক্ত জেলসেমিয়াম-ও ঘুম আনতে সাহায্য করবে।

যোগব্যায়াম বিশেষজ্ঞ অলোক সরকার বলছেন, রাতে শোওয়ার আগে প্রাণায়াম আর শবাসন অভ্যাস করুন। প্রাণায়ামে অভ্যস্ত না হলে, চোখ বন্ধ করে শুয়ে ধীরে ধীরে বুক ভরে শ্বাস নিন, আস্তে আস্তে ছাড়ুন। যাতে পেট একেবারে নিচে নেমে আসে। পাঁচ বার করুন। উত্তেজনা দূর হয়ে শরীর শান্ত হবে।

আয়ুর্বেদাচার্য মৃণাল কান্তি ত্রিপাঠী বলছেন, জটামাংসি (শিকড়) ভিজিয়ে তার জল খেলে, বা ব্রাহ্মী শাক ঘিয়ে ভেজে খেলে ভাল ফল মেলে। তাঁর পরামর্শ, শোওয়ার আগে খানিক পায়চারি করে বজ্রাসন করুন।

ঘুম আনার জন্য রইল আরও কিছু টিপস

রাতে মশলাদার, গুরুপাক ভরপেট খাবেন না।

রাত আটটার মধ্যে খাওয়া শেষ করুন।

চকোলেট, কফি রাতে খাবেন না। এলাচ আর জায়ফল গুঁড়ো মিশিয়ে হালকা গরম দুধ খেতে পারেন।

শোয়ার আগে টিভি সিরিয়াল, কম্পিউটার বা ফোনে চ্যাট, ভিডিয়ো গেমস চলবে না।

মাথায়, পায়ের তলায় তেল মালিশ করুন।

দিনে ঘুম নয়। রোজ একই সময়ে উঠুন। ছুটির দিনেও। সকালে মিনিট পনেরো বাইরে হেঁটে আসুন। একান্তই ঘুম না এলে বিছানায় শুয়ে এ পাশ ওপাশ করবেন না। তার চেয়ে উঠে বই পড়ুন।

স্বীকারোক্তি

তখন একান্নবর্তী পরিবার ছিল আমাদের। রাশভারী ঠাকুমার দোর্দণ্ডপ্রতাপের কাছে মা কুঁকড়ে থাকত। এক বার ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে বাবার কাছে মনের দুঃখের কথা বলছিল মা। আড়াল থেকে তা শুনে ঠাকুমার কানে তুলেছিলাম। সেই নিয়ে তুলকালাম হয়েছিল সংসারে। তবে ঠাকুমাকে কে কথাটা বলেছিল, জানতে পারেনি কেউ। ছ’বছর বয়সে কেন ওই কাজ করেছিলাম জানি না আমিও। আজ মা আর এই জগতে নেই। ছোটবেলার সেই ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার সুযোগটুকুও হারিয়েছি।

চৈতালি সর্দার, তমলুক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন