জুতোর ওপরের অংশ যেন আপনার পায়ের পাতা অনুযায়ী ফ্লেক্সিবল আর নরম মেটিরিয়ালের তৈরি হয়। চামড়ার জুতোয় সমস্যা কম হয়। পাতলা সোলের জুতো শখ করে পরলেও পরে কিন্তু পায়ে ভালই বেগ দিতে পারে। চলার সময়ে মোটা জুতোর সোল গদির মতো আপনার পায়ের চাপ শুষে নেয়। হাড়ের ব্যথা থাকলে ওই ধরনের সোলই ব্যবহার করুন। কম হিল পায়ের জন্য অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক আর নিরাপদ। স্টিলেটো এড়িয়ে চলুন। যদি পোশাকের সঙ্গে টিম আপ করার জন্য স্টিলেটো পরতেই হয়, তবে মাঝে মধ্যে পরুন। রোজ পরতে হলে চেষ্টা করুন মোটা হিলের জুতো পরার।
বয়স বাড়ার সঙ্গে পায়ের মাপ সব সময়েই বদলাতে থাকে। ফলে প্রতিবার জুতো কিনতে যাওয়ার আগে পায়ের পাতার মাপ নিয়ে তবে কিনবেন। দিনের শেষে পায়ের পাতার মাপ সবচেয়ে বেড়ে যায়। ওই সময়ে মাপ নেওয়াই সব চেয়ে ভাল।
আমাদের কারওরই কিন্তু দু’টি পায়ের পাতার মাপ সমান হয় না। বড় আকারের পায়ের পাতার মাপটিকেই মান্য ধরুন। জুতোর ভেতরে ছাপা নম্বর দেখে কেনার ভুল করবেন না। পরে দেখে নিন, পায়ে ফিট করছে কিনা। খুব ছড়ানো পায়ের পাতা হলে সরু মুখের জুতো পরে থাকা কিন্তু ক্ষতিকর হতে পারে।
জুতো পরে দাঁড়িয়ে এক বার দেখে নিন, আপনার সবচেয়ে লম্বা আঙুল আর জুতোর শেষ প্রান্তের মধ্যে খানিকটা ফাঁক আছে কিনা। গোড়ালি যেন আরামদায়ক ভাবে ফিট করে। গোড়ালি বেশি স্লিপ করলে বা জুতো থেকে আলাদা হয়ে ওঠা-নামা করলে মুশকিল। খুব আঁটোসাঁটো জুতো এড়িয়ে চলুন।
মনে রাখবেন আপনার স্বাচ্ছন্দ্যই এ ক্ষেত্রে শেষ কথা। ব্যস, এ বার জুতো কিনে এনে বাড়িতে কয়েক বার হেঁটে ট্রায়াল দিয়ে নিলেই হয়ে গেল!