Arambagh Arrest Case

ফেসবুকের বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ‘ধর্ষিতা’ হুগলির দুই বোন! পাল্টা অভিযোগ তিন ধৃতের

অভিযোগকারিণীদের বাড়ি হুগলির আরামবাগে। অভিযুক্তদের বাড়ি হুগলিরই গোঘাটের। তবে সমাজমাধ্যমে তাঁদের পরিচয় হয়েছিল বলে পুলিশের কাছে দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৫ ১৯:৪৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

সমাজমাধ্যমে বন্ধুত্ব। নিত্যদিন বার্তা আদান-প্রদান। সেই সমাজমাধ্যমের বন্ধুদের বিরুদ্ধেই ধর্ষণের অভিযোগ করলেন দুই বোন। অভিযোগ, বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে তাঁদের একাধিক বার শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে।

Advertisement

‘নির্যাতিতাদের’ বাড়ি হুগলির আরামবাগে। তাঁদের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পলাতক এক জনের খোঁজ চলছে। দুই যুবতীর মা জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দুই মেয়ে কেনাকাটা করতে বাজারে গিয়েছিলেন। আরামবাগের গৌরহাটি মোড়ের কাছে তাঁদের সঙ্গে এক ‘ফেসবুক বন্ধুর’ দেখা হয়। তিনি দুই বোনকে বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। মায়ের দাবি, তাঁর মেয়েরা প্রথমে এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। কিন্তু একপ্রকার জোর করেন অভিযুক্ত যুবক। একটি চারচাকা গাড়ি নিয়ে তাঁর আরও চার বন্ধু আসেন গৌরহাটি মোড়ে। প্রায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দুই বোনকে। এর পর তাঁদের নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।

‘নির্যাতিতাদের’ মা জানিয়েছেন, রাত হয়ে যাওয়ার পরেও দুই মেয়ে বাড়ি না-ফেরায় তিনি চিন্তায় পড়ে যান। আশপাশে কোথাও দু’জনের খোঁজ না পেয়ে থানায় যান তিনি। অন্য দিকে, পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয় তারা। নিখোঁজ দুই বোনের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। দু’জনের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ‘ট্র্যাক’ করতে গিয়ে দেখা যায়, দুটি ফোন রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের একলখি এলাকায়। সেখানে আরামবাগ থানার পুলিশের একটি দল গিয়ে দুই বোনকে একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করে।

Advertisement

বাড়ি ফিরে দুই বোন পরিবারের কাছে জানায়, গাড়িতে তাঁদের জোর করে নেশাজাত দ্রব্য খাইয়ে শারীরিক অত্যাচার চালিয়েছেন তার জন। দিদিকে গাড়ির মধ্যে একাধিক বার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় বোনের উপরেও শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছিল। ঘটনাক্রমে থানায় গিয়ে গণধর্ষণের মামলা করে দুই যুবতীর বাড়ির লোকজন।

অন্য দিকে, অভিযুক্তেরা আগেই গা-ঢাকা দিয়েছিলেন। শুক্রবার রাতে তিন জনকে আরামবাগের নৈশরাই থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিন জনই গোঘাটের বাসিন্দা। তবে আরও এক অভিযুক্ত এখনও অধরা। শনিবার ধৃত তিন জনকে মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। আদালতে যাওয়ার পথে ধৃতদের পাল্টা দাবি,গাড়িতে যাওয়ার সময় দুই বোন তাঁদের কাছে লক্ষাধিক টাকা দাবি করেছিলেন। তা না-দেওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে ফাঁসানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে। দুই পক্ষেরই বক্তব্য শোনা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement