Balagarh

টিভি দেখতে এসে ধর্ষিতা কিশোরী! বলাগড়ে তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, শাস্তি চাইলেন দলীয় বিধায়ক

তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ঘিরে গন্ডগোলের মধ্যে এলাকার যান বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তিনি বলেন, ‘‘একটি ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত আবার হুমকিও দিচ্ছে!’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:১৯
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

এক কিশোরীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল হুগলির বলাগড়ে। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর এক ছেলে। অভিযুক্তকে না পেয়ে তাঁর বাড়িতে হামলা করলেন স্থানীয়রা। চলল ভাঙচুর। ঘটনাস্থলে গেলেন বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী।

Advertisement

অভিযোগ, ২৫ ডিসেম্বর ১৩ বছরের এক নাবালিকা প্রতিবেশীর বাড়িতে টিভি দেখতে গিয়েছিল। তখন এক যুবক ওই নাবালিকার হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে যৌন নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ। সেই সময় নাবালিকার এক প্রতিবেশী তা দেখে ফেলেন এবং তিনি অভিযুক্তকে আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু উল্টে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার বিষয়টি পাঁচকান হওয়ায় শুরু হয় উত্তেজনা। নাবালিকার প্রতিবেশীরা অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হন। কিন্তু ওই যুবককে কোথাও পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবকের বাবা সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। তাই সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টিতে রাজনীতি ঢুকে যায়। বুধবারও ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ঘিরে গন্ডগোল শুরু হলে সেখানে এলাকার বিধায়ক মনোরঞ্জন যান। বিধায়ক বলেন, ‘‘একটি ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত আবার হুমকিও দিচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করছে। অপরাধীকে গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে দ্রুত।’’

অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে সরব স্থানীয়রাও। অঞ্জনা দাস নামে এক গৃহবধূ জানান, অভিযুক্তেরা চার ভাই। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ওরা পাড়ায় কারও সঙ্গেই ভাল ব্যবহার করে না।’’ অভিযুক্তের বাবার দাবি ভিন্ন। তিনি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার হচ্ছে তাঁর পরিবার। প্রৌঢ়ের কথায়, ‘‘আমি আগে কংগ্রেস করতাম। ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল করি। দলের সব কর্মসূচিতে থাকি। ওরা (তৃণমূলের একাংশ) বলছে, আমার ছেলে অপরাধ করেছে। কিন্তু সত্যিই কী হয়েছে জানি না। তবে আমার উপর স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের আক্রোশ অনেক দিনের।’’ তিনি জানান, তাঁর ছেলে ভিন্‌রাজ্যে কাজ করতেন। এখন বাড়িতে আছেন। একটা ব্যবসার কাজে যুক্ত। সামনেই তাঁর বিয়ে রয়েছে। তাই তাঁর ছেলেকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল কর্মী।

Advertisement

অন্য দিকে, তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য, ‘‘দুষ্কৃতীরা কোনও দলের নাম ভাঙায়। এ-ও (অভিযুক্ত) কোনও দলে (রাজনৈতিক) আছে। এরা মানুষকে ভয় দেখাতে দলের নাম ভাঙিয়ে কাজ করে।’’ এই পুরো ঘটনায় জোর অশান্তি এলাকায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement