Pet Cat

কোলে ফিরল ‘টমু’! চুঁচুড়ার সেনগুপ্ত পরিবারে খুশির হাওয়া, তান্ত্রিকের কথায় না ভুলে কী ভাবে মিলল খোঁজ

টমুর বয়স মাত্র এক মাস। সেনগুপ্ত পরিবার তাকে সন্তানস্নেহে পালন করছিল। কিন্তু গত ১৬ জানুয়ারি হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় বিড়ালটি। দিনভর তার দেখা না পেয়ে চিন্তায় পড়ে যান ঋতব্রত, রূপা সেনগুপ্তরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:১৬
Share:

পোষ্যকে ফিরে পেয়ে খুশি সেনগুপ্ত পরিবার। —নিজস্ব চিত্র।

দিন পনেরো হন্যে হয়ে পোষ্য বিড়ালকে খুঁজেছেন। কোথাও আদরের টমুর দেখা না পেয়ে পোস্টার ছাপিয়ে দেওয়ালে দেওয়ালে সাঁটিয়েছিলেন হুগলির চুঁচুড়ার জোড়াঘাটের সেনগুপ্ত দম্পতি। বিড়াল খুঁজে দেবেন বলে তারাপীঠের এক তান্ত্রিক যোগাযোগ করেন সেনগুপ্ত পরিবারের সঙ্গে। যদিও সেই ফাঁদে পা দেননি ঋতব্রত সেনগুপ্তরা। অবশেষে পোষ্যকে ফিরে পেয়েছেন তাঁরা। কয়েক কেজি ওজন কমিয়ে দুর্বল টমু মালিকের কোলে ফিরেছে। এ জন্য সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সেনগুপ্ত পরিবার।

Advertisement

টমুর বয়স মাত্র এক মাস। সেনগুপ্ত পরিবার তাকে সন্তানস্নেহে পালন করছিল। কিন্তু গত ১৬ জানুয়ারি হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় বিড়ালটি। দিনভর তার দেখা না পেয়ে চিন্তায় পড়ে যান ঋতব্রত, রূপা সেনগুপ্তরা। টমুর সন্ধানে পোস্টার সাঁটানো হয় দেওয়ালে দেওয়ালে। সমাজমাধ্যমেও ঋতব্রত টমুকে নিয়ে পোস্ট করেন। ভাইরাল হয় সেই ভিডিয়ো। বিড়ালের সন্ধানে একটি পরিবারের এমন তৎপরতা নজর কাড়ে সংবাদমাধ্যমের। গত কয়েক দিনে নানা জায়গা থেকে ফোন আসতে শুরু করে। যেমন, তারাপীঠ থেকে তান্ত্রিকের পরিচয় দিয়ে এক জন ফোন করেছিলেন। তিনি পরামর্শ দেন, ৯০০ টাকা দিলে তন্ত্রসাধনা করে দেবেন। তার পর টমু নিজেই ঘরে ফিরবে। সে সব অবশ্য কানে তোলেনি সেনগুপ্ত পরিবার।

এর মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে চুঁচুড়ার ক্রুকেড লেন থেকে এক জন ফোন করেছিলেন ঋতব্রতকে। জানান, টমুর সঙ্গে সাদৃশ্য আছে এমন একটি বিড়ালকে ক্রুকেড লেনে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। শোনামাত্র সেখানে ছুটে যান যুবক। দেখেন, হ্যাঁ, ওটা টমুই। খাওয়া-দাওয়া নেই। তাই শরীর কিছুটা দুর্বল হয়েছে। ওজন কিছুটা কমেছে। গায়ের সাদা লোমে নোংরা লেগেছে। রূপা বলেন, ‘‘আমরা পোস্টার দিয়েছিলাম। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের জন্য আমাদের খুব সাহায্য হয়েছে। অনেকেই ফোন করে জানিয়েছেন। তার পর এক ভদ্রলোক ফোন করে জানান। তাঁর কথা মতো ঘটনাস্থলে গিয়ে টমুকে পেয়ে যাই। ওর প্রিয় খাবার দিয়ে ‘টমু’ বলে ডাকতেই কাছে চলে আসে ও।’’

Advertisement

গত কয়েক দিন কাজকর্ম, খাওয়া-ঘুম মাথায় উঠেছিল বাড়ির সবার। এর মধ্যে বাড়ির আর এক পোষ্য বিড়াল ‘মাম্মা’র তিনটে ছানা হয়েছে। তাদের সকলকে এখন চোখেচোখে রাখছে সেনগুপ্ত পরিবার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement