পঞ্চাননতলা রোডের আশপাশের এলাকার কয়েকটি ওয়ার্ডে বাড়ির মধ্যে জল ঢুকে যায়। —প্রতীকী চিত্র।
এক দিকে ঊর্ধ্বমুখী গঙ্গার জলস্তর, অন্য দিকে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দিনভর টানা বৃষ্টি— এই জোড়া ফলায় হাওড়ায় ফিরল জমা জলের ভোগান্তি। পুরসভার কমপক্ষে ২৩টি ওয়ার্ডের রাস্তায়, এমনকি, উত্তর হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় বাড়ির ভিতরেও জল ঢুকে যায়। আজ, শনিবার ও কাল, রবিবারও বৃষ্টি চললে শহরের অবস্থা ঘোরালো হবে, সেই আশঙ্কায় শুক্রবার পুর ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে বৈঠকে বসেন পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী। জল দ্রুত বার করতে আর কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়।
সূত্রের খবর, উত্তর হাওড়ার নস্করপাড়া রোড, ৪ নম্বর ওয়ার্ড, ২ নম্বর ওয়ার্ড, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবীন ঘোষ লেন, মহীনাথ পোড়েল লেন, কামিনী স্কুল লেন, অরবিন্দ রোড, বেনারস রোড জলমগ্ন হয়ে পড়ে। মধ্য হাওড়ার ইছাপুর মোড়, ডুমুরজলা এইচআইটি আবাসন, শৈলেন মান্না সরণি-সহ বেলিলিয়াস রোড, পঞ্চাননতলা রোডের আশপাশের এলাকার কয়েকটি ওয়ার্ডে বাড়ির মধ্যে জল ঢুকে যায়। পুর চেয়ারপার্সনের নির্দেশে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের সাঁতারাগাছি আন্ডারপাসে কাছে একটি খাল কেটে জল বার করে দেওয়ায় এ দিন সেখানে ততটা জল জমেনি।
এ দিন চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘শুক্রবার সকাল থেকে গঙ্গায় জোয়ার থাকায় প্রথমে জল পাম্প করে বার করে দিলেও ফের ঢুকে আসছিল। তবে বিকেলে ভাটার সময়ে জমা জল পাম্প চালিয়ে বার করা গিয়েছে। আমরা ৭০টি ছোট পাম্প-সহ কয়েকটি বড় পাম্প রেখেছি। আরও বৃষ্টি হলে সেগুলি চালানো হবে। বাসিন্দাদের জন্য শুকনো খাবার ও পানীয় জলের পাউচের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে