—প্রতীকী চিত্র।
ডেঙ্গি এ বার আর নির্দিষ্ট কিছু ওয়ার্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। চলতি বছরে হাওড়া শহরে ৫০টি ওয়ার্ডেই কমবেশি ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গি। শুধু তা-ই নয়। গত শীত থেকেই হাওড়া জুড়ে টানা দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। গত ছ’মাসে শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হলেও ডেঙ্গির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উদ্বিগ্ন পুর প্রশাসন। কারণ, গত বারের তুলনায় বর্তমানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আশঙ্কা, এখনও ডেঙ্গি নিয়ে পুর নাগরিকেরা সচেতন না হলে বর্ষার পরে আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে ডেঙ্গি।
ডেঙ্গি সম্পর্কে বাসিন্দাদের সচেতন করতে তাই বিভিন্ন ভাবে প্রচার শুরু করেছে জেলা প্রশাসন ও পুর স্বাস্থ্য দফতর। সোমবার শহরে এ নিয়ে সচেতনতা মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যেরা ছাড়াও বিভিন্ন স্কুলের প্রায় ৭০০ জন পড়ুয়া অংশগ্রহণ করে। পরে পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী জানান, বাসিন্দাদের বাড়িতে জমা জল সরাতে ও ডেঙ্গি প্রতিরোধে কী কী করণীয়, তা ফের জানাতে লিফলেট, পোস্টার, পাড়ায় পাড়ায় মিছিল করা হচ্ছে। পুরসভার পক্ষ থেকে খোলা পাতকুয়ো ঢাকতে জাল দেওয়া হচ্ছে। যে সব পরিত্যক্ত ফাঁকা বাড়ি বা জমিতে জল জমে রয়েছে, তা পরিষ্কার করার জন্য ওই সব বাড়ি বা জমির মালিকদের নোটিস দেওয়া হচ্ছে। পুরসভার নির্দেশ মতো কাজ না করলে সকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে পুরসভা।
সুজয় বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে, হাওড়ার নির্দিষ্ট কয়েকটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি হয়। কিন্তু এ বার কমবেশি প্রতিটি ওয়ার্ডেই ডেঙ্গি হানা দিয়েছে। তাই পুর স্বাস্থ্য দফতর সতর্ক আছে। ডেঙ্গির মশার লার্ভা মারতে তেল ছড়ানো হচ্ছে। যে সব বাড়িতে মশার লার্ভা মিলছে, সেই সব বাড়ির আশপাশের ৫০টি বাড়িতে লার্ভিসাইড তেল ছড়ানো শুরু হয়েছে।’’ তিনি আরও জানান, যে হেতু ডেঙ্গির প্রতিষেধক নেই, তাই মানুষ সচেতন না হলে সমস্যা বাড়বে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে