TMC

TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠী-সংঘর্ষে জখম ৮, গ্রেফতার ৫

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, টাঙির কোপে আহত হন সাহাবু্দিন, গিয়াসু্দ্দিন এবং দলের অঞ্চল সভাপতি অরুণ পাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোঘাট শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২১ ০৬:৪০
Share:

প্রতীকী চিত্র।

এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে লাঠি-টাঙি নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে শুক্রবার রাতে তেতে ওঠে গোঘাটের শ্যামবাজার পঞ্চায়েত এলাকা। জখম হন ৮ জন। তাঁদের মধ্যে টাঙির কোপে গুরুতর জখম তিন জনকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

এসডিপিও (আরামবাগ) অভিষেক মণ্ডল জানান, শুক্রবার রাতেই এক পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার অন্য পক্ষ অভিযোগ দয়ের করে। সব অভিযুক্তকেই ধরা হবে।

তৃণমূলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই গোষ্ঠীর একদিকে রয়েছেন গোঘাট-২ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সাহাবুদ্দিন খান, অন্যদিকে, ব্লক তৃণমূল কিসান সংগঠনের সভাপতি নিতাই নন্দী। দু’জনের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। প্রধান-সহ দলের নেতাদের একাংশের মদতে গাছ কেটে লুটপাট করা হচ্ছে বলে গত ১৮ জুলাই অভিযোগ তুলেছিলেন নিতাই। অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছিলেন সাহাবুদ্দিন এবং তাঁর ভাই পঞ্চায়েত প্রধান গিয়াসুদ্দিন খান। আবার ২১ জুলাই শ্যামবাজারে পুরনো দলীয় কার্যালয়ে বিজেপির লোকদের নিয়ে নিতাই পতাকা তুলেছেন, এই অভিযোগ তুলে সাহাবুদ্দিনরা প্রতিবাদ করেন। সেই চাপানউতোরের জেরেই শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়ায়।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, টাঙির কোপে আহত হন সাহাবু্দিন, গিয়াসু্দ্দিন এবং দলের অঞ্চল সভাপতি অরুণ পাল। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অন্য পক্ষের আহত নিতাই, রহমত খান, রিয়াজুল মল্লিক সহ পাঁচ জনের প্রাথমিক চিকিৎসার পর রাতেই পুলিশ গ্রেফতার করে। নিতাইয়ের পক্ষে তাঁর স্ত্রী তথা শ্যামবাজার পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শিবানী শনিবার দুপুরে সাহাবুদ্দিন, গিয়াসুদ্দিন এবং অরুণ-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ধৃতদের শনিবার আরামবাগ আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

সাহাবুদ্দিন এবং অরুণের অভিযোগ, “আমরা জনা দশেক দলীয় কর্মী শ্যামবাজারের অন্য একটি দলীয় কার্যালয়ে ছিলাম। আচমকা নিতাই এবং তাঁর লোকজন লাঠি-টাঙি নিয়ে হামলা করে।” অভিযোগ অস্বীকার করেছে নিতাই। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “আমরা প্রতিদিনের মতো বাজারের পুরনো দলীয় কার্যালয়ে ছিলাম। সেখানে সাহাবুদ্দিন ও তাঁর লোকজন হামলা চালায়। মারধর করে। স্থানীয় মানুষই প্রতিবাদ করেন।”

এ দিন হাসপাতালে আহতদের দেখতে আসেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। তিনি বলেন, “দলের মধ্যে এই বিশৃঙ্খলা মানা যাবে না। এই অশান্তির সঙ্গে যারা যুক্ত, সবাইকে গ্রেফতার করবে পুলিশ। দলও পদক্ষেপ করবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন